ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাবুলে গোয়েন্দা অফিসে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ৬

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

কাবুলে গোয়েন্দা অফিসে আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ৬

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সোমবার দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। হামলাকারী পায়ে হেঁটে এসে প্রধান সড়কে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছে। সুন্নি মুসলমানদের জঙ্গী সংগঠন আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। আফগানিস্তানে সম্প্রতি জঙ্গী হামলার সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। গেল অক্টোবরে শিয়া সংখ্যালঘুদের একটি মসজিদে হামলায় ৩৯ জন নিহত হন। খবর এএফপি ও গার্ডিয়ান অনলাইনের। এমন সময় হামলার ঘটনাটি ঘটেছে, যখন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা তাদের কার্যালয়ে সবে এসে পৌঁছেছেন। এছাড়া সকালে ব্যস্ত সময়ে লোকজন তাদের কর্মস্থলের দিকে ছুটছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীতে জাতীয় নিরাপত্তা অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঢুকে জঙ্গীরা হামলা চালিয়েছিল। আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব দানিশ বলেন, হামলাকারী নিজেকে উড়িয়ে দিলে গাড়িতে থাকা ছয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও পাঁচ ব্যক্তি আহত হন। একটি টয়োটা সেডান গাড়িতে করে তারা ওই জায়গাটি পার হচ্ছিলেন। তিনি বলেন, হামলার লক্ষ্যবস্তু কি ছিল তা আমরা জানি না। তবে হামলার ঘটনাটি প্রধান সড়কের ওপর ঘটেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। কিন্তু তাদের তথ্যে, আহত হয়েছেন একজন। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তারা জানিয়েছে। এর আগে মে মাসে কূটনৈতিক আবাসিক এলাকায় ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণে দেড় শ’ জন নিহত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করলে প্রাণঘাতী আত্মাঘাতী হামলা শুরু হয়। গত সপ্তাহে আফগান গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলা চালায়। ২০১৫ সাল থেকে এই জঙ্গী গোষ্ঠী আফগানিস্তানে সক্রিয়। হামলার পরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। উপ-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নুসরাত রাহিমি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পেয়েছি, তাতে কাবুলের পার্শ্ববর্তী শাশ দারাকে গোয়েন্দা সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দুর্নীতি ও পলায়নের কারণে আফগান নিরাপত্তাবাহিনী এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার ওপর আইএস ও তালেবান হামলায় তাদের মাঝে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়, ২০১৪ সালে ন্যাটোবাহিনী প্রত্যাহারের পর থেকে এই হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক পর্যায়ে চলে গেছে। সেনাবাহিনীর ভিতর থেকে জঙ্গীদের সাহায্য করা হচ্ছে এবং দুর্নীতি তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে ধরেছে। এতে করে আফগান বাহিনীর মনোবল একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে বলে মনে করা হয়।
×