ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিরপুর সেনানিবাসে ওয়ার কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

আমাদের সশস্ত্রবাহিনী শুধু ক্যান্টনমেন্টে থাকার জন্য নয়

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

আমাদের সশস্ত্রবাহিনী শুধু ক্যান্টনমেন্টে থাকার জন্য নয়

বিডিনিউজ ॥ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সশস্ত্র বাহিনীসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মিরপুর সেনানিবাসে ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০১৭’র শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তো শুধু ক্যান্টনমেন্টে থাকার জন্য নয়। এখানে আমাদের দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। যে কারণে আজকে আমাদের যে কোন উন্নয়ন কাজে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সম্পৃক্ত থাকছে। শেখ হাসিনা বলেন, যেখানেই কোন কঠিন কাজ হচ্ছে সেখানেই আমরা সেনাবাহিনীকে ডেকে নিচ্ছি, বা কোথাও নৌবাহিনী, কোথাও বিমানবাহিনী কাজ করছে। সবাই মিলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা দেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছি। যে কারণে অনেক প্রকল্পের কাজ আমরা খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে পারছি। এবারের ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে মোট ৮০ জন অংশ নেন, যার মধ্যে ২৭ জন বিদেশী রয়েছেন। আর ওয়্যার কোর্সে অংশ নিয়েছেন ৩৫ জন। অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় প্রণয়ন করা প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীকে ‘আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর‘ হয়ে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রসহ সরঞ্জামাদি যা কিছু দরকার আমাদের সাধ্যমতো তা ক্রয় করে দিচ্ছি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের গুরুত্ব ক্রমাগত বেড়েই চলেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্রনীতির এ মূলমন্ত্র মেনে বৈদেশিক নীতি পরিচালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা শুনে নিজের গর্বের কথা প্রকাশ করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বাধীন সরকারে আসার পর ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ প্রতিষ্ঠার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কলেজ সারাবিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে এবং বহু দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আসছে। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘জ্ঞানেই নিরাপত্তা’ মূলমন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশকে টেকসই উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এবারে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নাইজিরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান, নেপাল ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ২৭ প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। ৫৩ দেশি প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর বাইরে সিভিল সার্ভিস, পুলিশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট চোধুরী হাসান সারওয়ারদী।
×