ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাশিয়া নিয়ে আসছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান

প্রকাশিত: ১৮:২৭, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

রাশিয়া নিয়ে আসছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান

অনলাইন ডেস্ক ॥ রাশিয়া নিয়ে আসছে কৌশলগত যুদ্ধবিমান টু-১৬০। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সুপারসনিক যুদ্ধবিমানকে এবার আরও আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রেমলিন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ওড়াতে যাচ্ছে টুপোলেভ টু-১৬০এম২। নতুন যুদ্ধবিমানে আধুনিক ও সবচেয়ে শক্তিশালী ০২ সিরিজের কুজনেৎসভ এন কে -৩২ টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা আরও বেশি কার্যক্ষম। এই ইঞ্জিনকে যুদ্ধবিমানের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে ধরা হয়। আগের মডেলের ইঞ্জিন থেকে এটি আরও বেশি নির্রভযোগ্য। অতিরিক্ত দূরত্বের গন্তব্যে গেলে ওড়া অবস্থায় অন্য বিমান থেকে জ্বালানি নেওয়ার ব্যবস্থা (ইন ফ্লাইট রিফুয়েলিং) থাকছে টু-১৬০-এ। সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতার ১৩০ টন জ্বালানি তেল দিয়ে অন্তত ১৫ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে পারবে। ধারণা করা হচ্ছে, টু-১৬০এম২ বিমানে আগের মডেলের মতো কেএইচ-১০১/১০২ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। রাশিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে আঘাত হানতে পারে। নয়া ক্ষেপণাস্ত্র কেএইচ ১০১-কে রাশিয়ায় তো বটেই, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘপাল্লার উন্নত প্রযুক্তির বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বলে ধরা হয়। সিরিয়ায় রুশ বিমান হামলায় এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি টু-১৬০এম২ বিমান ৪০ হাজারেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ান কনকর্ড নামে পরিচিত টু-১৬০-এর মতো দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারা টু-১৬০এম২ যুদ্ধ বিমানও বিশ্বে সবচেয়ে বড় ও ভারী যুদ্ধবিমান হতে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, দ্রুতগতির যুদ্ধবিমান হিসেবেও এটি বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে। ঘণ্টায় প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার গতিতে বিমানটি ওড়ানোর জন্য কমপক্ষে চারজন ক্রু প্রয়োজন হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুপারসনিক যুদ্ধবিমানে নতুন আর কী থাকছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
×