ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেষ পরীক্ষা দেয়া হলো না সিয়ামের ॥ লাশ হয়ে ফিরল ঘরে

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শেষ পরীক্ষা দেয়া হলো না সিয়ামের ॥ লাশ হয়ে ফিরল ঘরে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ২৯ সেপ্টেম্বর ॥ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সামসুল ইসলাম সিয়ামের (১৫) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের চরমীরেরবাগ এলাকার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। হাসনাবাদ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সহিদুল ইসলাম বলেন, লোকজনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরনের শার্টে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি মনোগ্রাম আঁকা ছিল। সেখানে লেখা রয়েছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা শিক্ষার্থীর স্বজনদের খবর দেয়। পরিবারের লোকজন এসে মর্গে সামসুল ইসলামের লাশ শনাক্ত করেন। কয়েকদিন ধরে লাশ পানিতে থাকায় গলে পচে গেছে। মৃত শিক্ষার্থী সামসুল ইসলামের চাচা কামাল হোসেন বলেন, সামসুল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মিরপুর আনসার ক্যাম্প এলাকার সরকারী কলোনির ৯০/৪ বাসা থেকে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজে প্রি-টেস্ট পরীক্ষা দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় বিদ্যালয়ে গিয়ে খোঁজ নিলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায় সামসুল প্রি-টেস্ট পরীক্ষার শেষদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিল না। সামসুল নিখোঁজের বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। অপরদিকে শুক্রবার দুপুরে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শিক্ষার্থী সামসুলের পরিবারের লোকজন মৃতদেহ দাফন করার জন্য মিরপুর আনসার ক্যাম্প এলাকার সরকারী কলোনির ৯০/৪ বাসায় নিয়ে যায়। মৃত সামসুল ইসলামের পিতার নাম হারুন অর রশিদ। তিনি পরিসংখান ব্যুরোর কর্মকর্তা। সামসুল দুই ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠ। তার বড় বোন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী।
×