ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

উবাচ

সিরিয়ালপ্রীতি স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির আন্দোলন করার মতো সাহস ও সক্ষমতা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি হিন্দি সিরিয়াল দেখে। অবশ্য অনেক দিন থেকেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা বলছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন সিরিয়াল দেখেই সময় পার করেন। কেউ কেউ তো বলেন কোন কারণে সিরিয়াল সময়মতো না দেখতে পারলে রেকর্ডিং করে রাখা হয় পরে দেখার জন্য। এসব বিরোধিতার কারণেই বিরোধিতা কি না তা অবশ্য কেউ কোনকালে উদ্ঘাটন করতে যাননি। দেশের অধিকাংশ বাড়িতেই সন্ধ্যার পর সিরিয়াল দেখে সময় কাটান মহিলারা। তবে কেন খালেদা জিয়ার সিরিয়ালপ্রীতি উদাহরণ হবে? এরপরও ওবায়দুল কাদের বলছেন বিএনপির আন্দোলন করার মতো সাহস ও সক্ষমতা নেই। জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। দুই/চার কিংবা পাঁচশ’ লোক নিয়েও তারা ঢাকা শহরে মিছিল করতে পারছে না। আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি হিন্দি সিরিয়াল দেখে। এ কথার মানে কি বিএনপির নেতাকর্মীরাও তাহলে আজকাল সিরিয়াল দেখে সময় কাটাচ্ছেন। দলীয় প্রধানকে অনুসরণ করলে একটু কেন পুরোটাই করা উচিত! কিন্তু এটা নিয়ে হাস্যরসের কি আছে। লজ্জা পাচ্ছি স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইদানীং প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা প্রায় খবরের শিরোনাম হচ্ছেন। কোন দিন বাড়ির তথ্য আয়কর বিবরণীতে না তোলা আবার কোন দিন নিজের ব্যাংক হিসেবে অস্বাভাবিক লেনদেনের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এ নিয়ে আবার মধ্যরাতে টেলিভিশনগুলো টকশো করছে। একদল বলছে না এটা করেন কি করে, অন্য দল বলছে এটা মোটেই আইনের বরখেলাপ নয়। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে এ ধরনের খবর প্রকাশিত হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। আইন এবং বিচার বিভাগের প্রতি আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়। এর যথাযথ ব্যাখ্যা প্রধান বিচারপতির দিক থেকেও আসা উচিত বলে মনে করেন অনেকে। এসব খবর প্রকাশের পরও প্রধান বিচারপতি আগের মতোই সংবাদের শিরোনামে আসার মতো বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু প্রকাশিত নেতিবাচক খবর নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। তাহলে খবরে যা বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে তা সত্য? তবে এসবে খানিকটা লজ্জায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি সম্প্রতি বলেছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে টিভিতে রিপোর্ট দেখলাম। আমি লজ্জা পাচ্ছি। এতে কি ঈদ হয়? স্টাফ রিপোর্টার ॥ ক্ষমতাসীনরা বিএনপির সমালোচনা করায় খুশিতে নাকি ঈদই করতে পারেননি দলের নেতাকর্মীরা। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যে সেই আক্ষেপই প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বরাবরের মতোই সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ঈদ উৎসবকে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকেরা নানাভাবে ম্লান করে দিয়েছে। তো কিভাবে ম্লান হলো উৎসব এমন প্রশ্নে রিজভী বলছেন, ওই দলের প্রধান থেকে শুরু করে অন্য নেতারা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অন্তহীন পরনিন্দায় মুখর থেকেছেন। তারা দেশের রাজনীতির বিভাজন সৃষ্টি করেছে। আর এত ভাগাভাগি করলে কী ঈদ হয়! কিন্তু ঈদের আগেই সকলে দেখল দুই নেত্রী শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন ঈদ কার্ডে। রিজভী আরও বলছেন, ক্ষমতাসীনদের দাপট দেখে মনে হয়েছে যে ঈদের উৎসবে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ করার যেন কোন অধিকার ছিল না। ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের একমাত্র লক্ষ্য ও সেই উদ্দেশ্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছে।
×