মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে দেশের ৪টি রুটে ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে আজ। চট্টগ্রাম থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে আরামদায়ক ভ্রমণ করবে যাত্রীরা। ৫ দিনব্যাপী অগ্রিম টিকেট বিক্রির প্রথমদিনের যাত্রা শুরু হচ্ছে ১০টি ট্রেনে। কিন্তু পূর্বাঞ্চলীয় চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে যাত্রীদের চাহিদার অর্ধেকও টিকেট দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা ৬টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট কালেকশনের মধ্য দিয়ে ঈদে ঢাকায় পৌঁছার চেষ্টা করেছে। এছাড়াও সিলেটমুখী ২টি, চাঁদপুরগামী ১টি ও ময়মনসিংহগামী ১টি ট্রেন যাত্রীরা যাওয়ার কথা রয়েছে।
যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশন কাউন্টারের ঠিক কাছেই জিআরপি পুলিশের তথ্য কেন্দ্র দেয়া হয়েছে। আবার র্যাব সদস্যরাও নজরদারি রাখছে কালোবাজারিদের ওপর। পুরো স্টেশন চত্বরসহ স্টেশন কম্পাউন্ডের ভেতরে ও কাউন্টারের সামনেসহ ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অতীতে এর সংখ্যা কম থাকলেও টিকেট কালোবাজারীদের কড়া নজরদারিতে রাখতে কর্তৃপক্ষ এ ধরনের আয়োজন করেছে। এসব ক্যামেরার মনিটরিং করছেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ। তবে অভিযোগ উঠেছে, তিনি অনিবার্য কারণবশত কক্ষ ত্যাগ করলে মনিটরিং রেকডিংয়ের মধ্যেই থেকে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ও দেয়ালিকার মাধ্যমে টিকেট ক্রেতাদের সচেতন করতে এবারও নেয়া হয়েছে নানা ধরনের পদক্ষেপ।
শনিবার চট্টগ্রাম রেলস্টেশন চত্বর ঘুরে দেখা গেছে, ফেরত আগমনেচ্ছুরা টিকেট কিনতে প্রায় মরিয়া। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী ৬টি আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, মহানগর গৌধূলী, সোনার বাংলা, তূর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেস ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট বিক্রিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বুকিং ক্লার্কদের। এছাড়া চাঁদপুরগামী একটিমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন হলেও বরিশালগামী যাত্রীরা অনেকটা ভাগাভাগি হয়ে যায় ঢাকামুখী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সঙ্গে।
তবে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করে। যাত্রার পর থেকেই এ ট্রেনের ওপর প্রচুর চাপ রয়েছে যাত্রীদের। কারণ চাহিদার তুলনায় কোচ সঙ্কট এ ক্ষেত্রে মারাত্মক ধারণ করেছে। কোচ সঙ্কটের কারণে আসন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকায় যাত্রীরা গায়ের ওপর গা ঘেঁষে যেতে হচ্ছে ঈদযাত্রায়। অতীতে ময়মনসিংহগামী যাত্রীরা ঢাকামুখী ৪টি আন্তঃনগর ও এক্সপ্রেস ট্রেনের ওপর নির্ভর করে ঈদযাত্রাসহ যে কোন সময় ভ্রমণ করত। এ ক্ষেত্রে যাত্রীরা প্রথম অবস্থায় ঢাকার টিকেট নিয়ে কমলাপুর অবস্থান করে আবার ময়মনসিংহগামী ট্রেনগুলোর টিকেট সংগ্রহ করত। কিন্তু এ ধরনের ঝক্কিঝামেলা থেকে বাঁচতে সাবেক ডিজি তাফাজ্জল হোসেন ময়মনসিংহগামী যাত্রীদের জন্য বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালন নিশ্চিত করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: