ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় ফের ফাটল ॥ সাত গ্রামে আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১২ আগস্ট ২০১৭

বড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় ফের ফাটল ॥ সাত গ্রামে আতঙ্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ১১ আগস্ট ॥ বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পাশর্^বর্তী আরও কিছু এলাকায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে এ এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। খনি কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণের বাইরে সাতটি গ্রাম হলোÑ বাঁশপুকুর, পাতরাপাড়া, মথুরাপুর, শিবকৃষ্ণপুর, কাজীপাড়া, বৈদ্যনাথপুর ও পাতিগ্রাম। ক্ষতিগ্রস্তরা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরেজমিন গেলে গ্রামবাসী জানান, ২৮ মার্চ গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দে তাদের ঘরবাড়ি ফেটে যায় । প্রতিনিয়ত নতুন নতুন স্থানে ফাটল ধরছে। তাদের চোখে ঘুম নেই। পুরো এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাঁশপুকুর গ্রামের মৃত মেহেরুলের বাড়ি হয়ে খুলিয়ানে বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়ে তা হাজী সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির ভেতর দিয়ে দক্ষিণে চলে গেছে। মাটি দুই ভাগে ভাগ হওয়ায় বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘরের মেঝে দেবে এবং দেয়ালগুলো ফেটে যাওয়ায় তোফাজ্জল হাজীর বাড়ি বসবাসের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মোকছেদ আলী, বাচ্চু, সুলতান, ছাদেকুল, দুদু ম-লসহ এমন কোন বাড়িঘর নেই, যেখানে ফাটল ধরেনি। এ এলাকার হামিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলামের বাড়িতেও ফাটল ধরেছে। চেয়ারম্যানের ভাই মেহেরুল জানান, তারা ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছেন। পাতরাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে রয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের হামিদপুর শাখা। ইতোমধ্যে এ ব্যাংকের ছাদসহ দেয়ালে ফাটল ধরেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মচারীরা জানালেন, তারা ঝুঁকির মধ্যে অফিস করছেন । গ্রামের পুকুরগুলোতে পানি নেই। কারণ হিসেবে জানা গেল, পুকুরের তলদেশে ফাটল যাওয়ায় পানি শুকিয়ে গেছে। পরিবেশ ও সম্পদ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মশিউর রহমান বুলবুল জানান, এখন পর্যন্ত কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে আগামী ১৬ আগস্ট খনির সামনে বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে। যোগাযোগ করলে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে কাজ করা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×