ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি বিকল ॥ শত শত যান আটকা

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১৪ জুলাই ২০১৭

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি বিকল ॥ শত শত যান আটকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৩ জুলাই ॥ ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচলকারী ফেরি বিকল হয়ে যাওয়ায় দুই পাড়ে গত তিনদিন ধরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। ঘাটে ২/৩ দিন অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। তিনটি ফেরিরস্থলে একটি ফেরি হঠাৎ বিকল হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে দুইটি ফেরি চললেও দুই পাড়ে কয়েক শত যানবাহনে দীর্ঘ লাইন পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। এতে করে পণ্যবাহী যানবাহনগুলো প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুনছে। স্থানীয়রা জানান, দ্বীপজেলা ভোলার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সহজ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস। দেশের দীর্ঘতম এ ফেরির রুট দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক, মালবাহী পরিবহন ও বাস চলাচল করছে। এ রুটে ৩টি ফেরি চলাচল করলেও গত তিনদিন আগে হঠাৎ করে কিষানী নামের ফেরিটি বিকল হয়ে যায়। জরুরী ভিত্তিতে তা মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়। যার ফলে দুই পাড়ে এক কিলোমিটারের বেশি যানবাহন দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে রয়েছে। এতে করে চরম পরিবহন শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। বাস শ্রমিক লোকমান মিজান জানান, তারা তিনদিন ধরে ইলিশা ফেরিঘাট ট্রাক নিয়ে আটকা রয়েছে। তাদের ফেরিঘাটে থাকা, খাওয়া-দাওয়া, টয়লেট করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন তাদের তাদের লাখ লাখ টাকা লোকসান হচ্ছে। এ ছাড়াও অন্য যে দুইটি ফেরি রয়েছে তাও জোয়ারের পানির চাপ বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে সময় মতো চলাচল করতে পারছে না। বর্তমানে চলাচলকারী কুসুম কলি ফেরি মাস্টার আবদুল মোক্তাদির জানান, মেঘনার তীব্র স্রোতের কারণে বর্তমানে তাদের ফেরিও আগের চেয়ে কম ট্রিপ দিচ্ছে। এছাড়াও মেঘনার জোয়ারের পানিতে ইলিশা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে থাকায় গাড়ি ওঠা নামা করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিলম্ব হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, দক্ষিলণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ রুটটিতে চারটি ফেরির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও কখনও ২টি কিংবা ৩টি ফেরি চলাচল করছে। এতে একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়ছেন এ রুটের যাত্রীরা ও পরিবহন শ্রমিকরা। নির্বিঘেœ যানবাহন চলাচলের জন্য দ্রুত আরও ২টি ফেরি দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বিআইডব্লিটিসির ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক আবু আলম বলেন, যানজট নিরসনে খুব শীঘ্রই ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে আরও একটি ফেরির দেয়ার জন্য তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে তারা জানিয়েছেন। তবে কবে নতুন ফেরি এ রুটে যুক্ত হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
×