ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনার ১৮০ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করবে কাল

প্রকাশিত: ২২:২৯, ২৬ মে ২০১৭

নেত্রকোনার ১৮০ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করবে কাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ। তাদের ‘পুনর্বাসন’ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৮০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী স্বেচ্ছায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে আগামী কাল। ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন পিপিএম এর উপস্থিতিতে শনিবার নেত্রকোনা জেলা পুলিশ লাইনস্-এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। পুলিশ সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে নেত্রকোনা সদর ও পূর্বধলা থানা এলাকাকে (নেত্রকোনা সদর সার্কেল) পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় নেয়া হয়েছে। স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পনে রাজি হওয়া ১৮০ জনের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগই নারী। এদের মধ্যে প্রথম দফায় পাঁচজনকে রিক্সা, আটজনকে সেলাই মেশিন, তিন জনকে দু’টি করে ছাগল এবং পাঁচজনকে ক্ষুদ্র ব্যবসার পূঁজি দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফায় ২০ জনকে দেয়া হবে একটি করে সেলাই মেশিনসহ দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ। এভাবে পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও পুনর্বাসন করা হবে। পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে তাদের দেয়া হবে আইনী সহযোগিতা। নেত্রকোনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং স্থানীয় এনজিও স্বাবলম্বী ও রেডক্রিসেন্টসহ দানশীল ব্যক্তিরা এই পুনর্বাসন কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, গত ছয় মাসে অন্তত ১৫০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীকে গ্রেফতার করে দেখা গেছে, জামিনে বেরিয়ে এসে অনেকে আবার একই অপরাধে জড়িত হয়। মাদকের চক্র থেকে এরা সহজে বের হতে পারে না। এদের মধ্যে বেশীরভাগই হেরোইন, ইয়াবা এবং গাঁজার ব্যবসায়ী কিংবা সেবনকারী। কারও বিরুদ্ধে ১০-১২টি করেও মামলা চলমান আছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে এদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আত্মসমর্পনে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এতে বিপুল সাড়া মিলেছে। নেত্রকোনা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে নেত্রকোনা সদর সার্কেল এলাকায় শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে আমরা সারা জেলাতেই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে চাই। তিনি পুলিশের এই পুনর্বাসন কর্মসূচিতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান। নেত্রকোনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, পুলিশের এ উদ্যোগটি গতানুগতিকতার বাইরে একটি প্রশসংসনীয় উদ্যোগ। আমরা এ কাজে সাধ্যমত সহযোগিতা করবো।
×