ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কর্মচারী নাট্যোৎসবে আজ ‘রাঢ়াঙ’

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

কর্মচারী নাট্যোৎসবে আজ ‘রাঢ়াঙ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘শিল্প-সংস্কৃতি-সৃজনশীলতা, জয় জয় জয় মানবতা’ শ্লোগানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্মচারি ইউনিয়নের ৩৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলমান ৫দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আজ চতুর্থ দিন। উৎসবে আজ সন্ধ্যা ৭ায় এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের জনপ্রিয় প্রযোজনা নাটক ‘রাঢ়াঙ’। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন তমালিকা কর্মকার, শামীমা শওকত লাভলী, রুবলী চৌধুরী, সাজ্জাদ সাজু, ঊর্মি হোসেন, শামীমা শওকত লাভলী, আমিন, কামরুল হাসান, আমানুল হক হেলাল, বাপ্পাদিত্য চৌধুরী, সজিব আহমেদ, রেজওয়ান পারভেজ, অরুহুল আমিন, পার্থ চ্যাটার্জী, দিলু মজুমদার, আরিফ হোসেন আপেল, সাঈদ সুমন, অন্যন্য মুগ্ধ,হাশিম মাসুদ ও মামুনুর রশীদ। ‘রাঢ়াঙ’ নাটকের কাহিনীতে তুলে ধরা হয়েছে উপজাতি সম্প্রদায়ের সুখ দু:খ ও সংগ্রামের ইতিহাস। রাঢাঙ একটি সাঁওতালী শব্দ যার অর্থ দূরাগত মাদলের ধ্বনিতে জেগে উঠার আহ্বান। ভারতীয় উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যারা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ায় তারা সাঁওতাল। ১৭৮৪ সালে হাজারীবাগ জেলার কালেক্টর ক্লিভল্যান্ডকে হত্যার মাধ্যমে এর সূত্রপাত। তারপর ১৮৫৫ সালে সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে সাঁওতাল বিদ্রোহ এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ। যার পরবর্তী অধ্যায় সর্বভারতীয় প্রতিরোধ ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ। এ অঞ্চলের আদিবাসীদের ভূমির অধিকারের লড়াইয়ে সাঁওতালদের অবদান একটি কিংবদন্তীসম উপাখ্যান। ভারত বিভক্তির পর ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোলের কৃষক আন্দোলনে সাঁওতালদের আজও সংগ্রামী কৃষক ও আদিবাসীদের অধিকার আদায়ে লড়াইয়ে একটি আলোকবর্তিকা। ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের নওগাঁয় আলফ্রেড সরেনের নেতৃত্বে ভূমির জন্য লড়াই ও আলফ্রেড সরেনের আত্মত্যাগ, সাঁওতালদের এই দীর্ঘ সংগ্রামের বিশাল উত্তরাধিকারকে মঞ্চে তুলে ধরার প্রয়াসই ‘রাঢাঙ’।
×