ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হবিগঞ্জে কালবৈশাখীর ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রান বিতরণ

প্রকাশিত: ০১:৩১, ২২ এপ্রিল ২০১৭

হবিগঞ্জে কালবৈশাখীর ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রান বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হবিগঞ্জের নিজামপুর ইউনিয়স্থ শুটকিপাড়া সহ ৮টি গ্রামের অন্তত দু’সহস্রাধিক নিঃস্ব হত-দরিদ্র মানুষ এখনও খোলা আকাশের নিচেই রয়ে গেছে। আর ভিজছে বৃষ্টিতে। কাপড়-চোপড়, বিছানা-বালিশ আর চকিগুলো শুধু নয় ভেঙ্গে পড়া বাড়ীর সামগ্রীগুলোও বৃষ্টি ও কর্দমাখা মাটিতে রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। যেন ওদের বাস অত্যন্ত দূর্বিসহ। মেঘলা আকাশে কখনও বজ্রপাতের ঘনঘটা আবার কখনও গুড়িগুড়ি এমনকি ভারী বৃষ্টিপাত আর ধমকা হাওয়া-অথচ এরই মাঝেই ভেজা এক কাপড়ে শিশু সন্তান নিয়ে ওরা স্যাতস্যাতে মাটির ওপরে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের প্রহর গুনছে। শুধু তাই নয়, সরকারী সাহায্যের প্রত্যাশায় ওরা এও ভাবছে, স্ব স্ব ভিটে আবারও তারা বাড়ী তৈরী করে তার প্রিয় শিশু সন্তানের মুখে এক মুঠো ভাত তুলে দিতে পারবে কি-না। আর সংসারে আসবে আবারও প্রানচাঞ্চল্যতা। এরই মাঝে যেন ওদের একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস। জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাম শুটকিপাড়ার ধ্বংস লিলা সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং সাবিনাকে কাছে পেয়ে বাঁচার আকুতি জানান। তখনই এইসব হত-দরিদ্র মানুষের কাছে খবর পৌছে যায়, জাতির জনকের বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য ও গৃহ নির্মানের জন্য আর্থিক সাহায্য ও নিমার্ণসামগ্রী আসছে। আর তা আজ শনিবারই দেয়া হবে। ফলে সহায়-সম্বল হারানো শত শত নারী-পুরুষ স্থানীয় নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকে। এই ফাঁকে আবারও জেলা প্রশাসনের পক্ষে এডিসি (সার্বিক) মোঃ এমরান হোসেন এবং এডিসি (রাজস্ব) মোঃ রোকন উদ্দিন সাংবাদিক রফিকুল হাসান চৌধুরীকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামগুলো পরিদর্শন ও সর্বশেষ পরিস্থিতি জরিপ করেন। এর অল্প কিছুক্ষনের মাঝেই একের পর এক আসতে থাকে জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিগণ। তখনও এইসব মানুষ চিন্তি ছিলেন যে, আদৌ তারা সরকারী সাহায্য পাচ্ছে কি-না। তেমনি মুহুর্তে জেলা প্রশাসক সাবিনা আলমও পৌঁছলেন সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে। হতাশায় নিমজ্জিত এই মানুষগুলো ফিরে পেল নতুন প্রান। এখন তারা বুঝতে পারলো সরকারী সাহায্য পাবেই তারা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই পরিষদ প্রাঙ্গনে জেলা প্রশাসক সাবিনা আলমের উপস্থিতিতে এবং সদর ইউএনও এ,টি,এম আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় শুরু হলো ক্ষতিগ্রস্থ এই হত-দরিদ্র মানুষগুলোর মাঝে সরকারী সাহায্য তুলে দেয়ার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
×