ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া প্রশ্নপত্র বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রির অভিযোগে অধ্যক্ষসহ গ্রেফতার ৯

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৯ মার্চ ২০১৭

ভুয়া প্রশ্নপত্র বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রির অভিযোগে অধ্যক্ষসহ গ্রেফতার ৯

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রির অভিযোগে এক অধ্যক্ষ, শিক্ষকসহ নয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- আশুলিয়া গাজীরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, টঙ্গী কোনিয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মোঃ হামিদুর রহমান ওরফে তুহিন (টঙ্গী কোনিয়া কোচিং সেন্টার), উত্তরায় সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের গণিত শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক মোঃ আতিকুল ইসলাম, একই কলেজের অফিস সহকারী মোঃ আব্দুল মজিদ, ছাত্র মোঃ আরিফ হোসেন, ছাত্র আকাশ ওরফে আদু ভাই, ছাত্র মোঃ সাইদুর রহমান, ছাত্র মোঃ রাকিব হোসেন ও ছাত্র তানভীর হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন জানান, সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তার মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত আশুলিয়ার এএম গাজীর চক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোজাফ্ফর হোসেনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি খুলে তাতে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র পোস্ট করে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করত। পুলিশ কর্মকর্তা বাতেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের ব্যবহৃত ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন সাইটের এ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার বাংলা ২য় পত্র, ইংরেজী ১ম পত্র, ইংরেজী ২য় পত্র, গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের ভুয়া প্রশ্নপত্র ও প্রশ্ন ফাঁসের গুজব সম্বলিত স্ক্রিনশট এবং নয়টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছে ২০১৬ সালের জেএসসি পরীক্ষার বাংলা ২য় পত্র, গণিত, ইংরেজী, কৃষি শিক্ষা, চারু ও কারু কলার এবং এইচএসসি পরীক্ষার উচ্চতর গণিত ১ম পত্র, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের ভুয়া প্রশ্ন পাওয়া গেছে। তিনি জানান, তারা পাবলিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৫০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকায় ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের উত্তর জানিয়ে দিত। তারা ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রতারণা করে বহুদিন ধরে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে আসছে।
×