ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফিক্সিং ইস্যুতে ফের তোলপাড় পাকিস্তান ক্রিকেট

ওদের লোভ দেখে বিস্মিত আর্থার

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৩ মার্চ ২০১৭

ওদের লোভ দেখে বিস্মিত আর্থার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিতর্ক ও পাকিস্তান ক্রিকেট একসূত্রে গাঁথা। মাঠ ও মাঠের বাইরে দেশটিতে অপ্রীতিকর ঘটনাই যেন স্বাভাবিক। ফিক্সিং সেখানে আলোচিত ইস্যু। পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মোহাম্মদ আমির ফিরে এসেছেন। আশায় অপর দুই তারকা সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ। এর মাঝে আবার নতুন বোমা। সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) দ্বিতীয় আসরে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়েছেন পাঁচ ক্রিকেটার। যাদের মধ্যে মোহাম্মদ ইরফান, শারজিল খান, খালিদ লতিফের মতো জাতীয় পারফর্মার রয়েছেন, আছেন নাসির জামসেদ ও শাহজাইব হাসান। ইরফান-শারজিলের মতো তুখোড় প্রতিভাবানদের এভাবে ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ায় যার পর নাই বিস্মিত পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিকি আর্থার। এজন্য অর্থের প্রতি ক্রিকেটারদের লোভ বেড়ে যাওয়াকেই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন হাইপ্রোফাইল এ দক্ষিন আফ্রিকান। আর্থার বলেন, ‘ক্রিকেটাররা এখন অনেক লোভী হয়ে গেছে। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য অশনি সঙ্কেত। আমি খুব বেশি হতাশ এসব নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট এটার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পিসিবিসহ (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) সব বোর্ডেরই উচিত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া। সবাই একত্রে কাজ করলেই কেবল এটার সমাধান আসবে।’ শারজিল খানের নাম দারুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার জড়িয়ে পড়ায় বেশি কষ্ট পেয়েছেন পাকিস্তান কোচ, ‘সে তিন ফরমেটেই পাকিস্তান দলের নিয়মিত সদস্য। ভবিষ্যতে দলের জন্য অনেক কিছু করতে পারতো। তাঁর নিষেধাজ্ঞার খবরটি খুব কষ্টদায়ক।’ বাবর আজম ও সরফরাজ আহমেদের পর গত বছর (২০১৬) ওয়ানডেতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান শারজিলেরই। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা ২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি রঙিন পোশাকে দলের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছিলেন। ওয়ানডে-টি২০’র পর সম্প্রতি টেস্টেও জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। এবারে পিএসএলে (দ্বিতীয় আসর’ ২০১৭) প্রথম ম্যাচের পরই বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগযোগের অভিযোগ ওঠে। এতে তখনই আরব আমিরাত থেকে শারজিল খান ও খালিদ লতিফকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাদের সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর একই অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় নাসির জামশেদ ও মোহাম্মদ ইরফানকে। সর্বশেষ পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে শাহজাইব হাসানের নাম তালিকায় যুক্ত হয়। স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়া খেলোয়াড়দের কঠোর শাস্তির বিষয়ে মুখ খোলেন সাবেক অধিনায়ক মিয়াদাঁদ। তিনি অপরাধ প্রমাণিত হওয়া খেলোয়াড়দের ‘মৃত্যুদ ’ চান। ফিক্সিংয়ে জড়িত ক্রিকেটারদের কঠোর শাস্তির পক্ষে নিজের আগের অবস্থানে দেশটির তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। ফিক্সিংকে ভুল না বলে ‘অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক দুর্নীতিবাজদের আজীবন নিষিদ্ধ করার পক্ষে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে আলোচিত সেই স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা আমির এখন হাফিজ-মিসবাহদের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ব্যাটিং করা বাটকে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল হক।
×