ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অন্য ম্যাচে মাঠে নামবে মালয়েশিয়া-ফিজি, চীন-শ্রীলঙ্কা এবং ঘানা-মিসর

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ ওমানের মুখোমুুখি বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ৭ মার্চ ২০১৭

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ ওমানের মুখোমুুখি বাংলাদেশ

রুমেল খান ॥ প্রতিপক্ষ বলতে গেলে সমশক্তিরই। এজন্য স্বাগতিকরা জোর গলায় বলতে পারছে না তারাই ফেবারিট দল বা জিতবে। প্রতিপক্ষ দেশটির নাম ওমান। তারা আজ বিকেল ৪টায় মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশের। ‘ওয়ার্ল্ড হকি লীগ (রাউন্ড-টু)’-এ পুল ‘এ’র ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে। একই দিনে অন্য ম্যাচগুলো হচ্ছে : সকাল ৯টায় মালয়েশিয়া-ফিজি, বেলা সাড়ে ১১টায় চীন-শ্রীলঙ্কা এবং পৌনে ২টায় ঘানা-মিসর। জয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দল সোমবার স্টেডিয়ামের নীল টার্ফে জার্মান কোচ অলিভার কার্টজের অধীনে অনুশীলনে ঘাম ঝরায়। আজকের খেলায় কি বাংলাদেশ দল জিতবে পারবে? ওমান তো র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ এগিয়েও বটে (ওমান ৩১, বাংলাদেশ ৩২)। এ প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও তারকা ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমি বলেন, ‘কোন সন্দেহ নেই, ওমান ভাল দল। গ্রুপে দ্বিতীয় হতে হলে আমাদের এ ম্যাচে জেতা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমরা অবশ্যই জেতার লক্ষ্য নিয়েই খেলব। রবিবার মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ওমান ৬-১ গোলে হারে। এই ম্যাচটি দেখেছেন জিমি। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘ম্যাচটা দেখেছি। আবারও বলছি ওরা আসলে খুবই ভাল দল। ওদের সঙ্গে আমরা আগেও খেলেছি। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি, পেনাল্টি কর্নারগুলো যদি কাজে লাগাতে পারি, তাহলে অবশ্যই খেলায় আমরাই জিতব।’ উল্লেখ্য, এই আসরে একই ভেন্যুতে ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি এই ওমানের কাছেই টাইব্রেকারে ২-০ (৩-৩) গোলে আশাভঙ্গের বেদনায় পুড়েছিল বাংলাদেশ দল। উঠতে পারেনি ওয়ার্ল্ড হকি লীগের সেমিফাইনালে। হেরে যায় কোয়ার্টার ফাইনালেই। ওই ম্যাচে জিতলে বাংলাদেশ সেমির চার দলের মধ্যে সেরা তিন দলের একটিতে পরিণত হয়ে তৃতীয় পর্বে খেলার সুযোগ পেত। সেখানে আরও বেশকিছু ম্যাচ সুযোগ পেত তারা। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তৃতীয় পর্বে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড হকি লীগের প্রথম রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ আসরে কখনই দ্বিতীয় পর্বের গ-ি পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ শক্তিশালী মালয়েশিয়ার কাছে ০-৩ গোলে হারে। দ্বিতীয় ম্যাচে ফিজিকে ৫-১ গোলে হারায়। এই দুটি ম্যাচে লক্ষ্যণীয় ছিলÑ বাংলাদেশ দল মোট ১৫ পেনাল্টি কর্নার (পিসি) পেয়েছে (মালয়েশিয়ার সঙ্গে দুটি ও ফিজির সঙ্গে ১৩টি), অথচ এ থেকে গোল করেছে মাত্র ৩টি। এর আগে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রস্তুতি হিসেবে ঘানার সঙ্গে তিনটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। এই ম্যাচগুলোতে ১৩টি পিসি পায় বাংলাদেশ। অথচ গোল করে মাত্র ২টি। সব মিলিয়ে মোট ২৮ পিসি থেকে গোল এসেছে ৫টি। এই গোল করার ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে দেখছেন জিমি, ‘কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী বক্সের ভেতরে পিসির সুযোগ তৈরি করতে পারছি আমরা। তবে কোন না কোন কারণে গোল হচ্ছে না। তবে এসব থেকে শিখছি আমরা। পরের ম্যাচে অভিজ্ঞতাই সাহায্য করবে।’ গ্রুপিং হওয়ার পর থেকেই ফিজি আর ওমানের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল বাংলাদেশের। দুর্বল প্রতিপক্ষ ফিজির বিপক্ষে জয়ের ম্যাচেও পিসি থেকে গোল করতে না পারার সমস্যা দেখা গেছে। ওমানের মতো বিপজ্জনক দলের বিপক্ষে এমনটা হলে তার খেসারত দিতে হতে পারে। ফলে এজন্য পুরো দলই সতর্ক। ফিজির বিপক্ষে ম্যাচের পর পিসি নিয়ে বেশি খাটছেন কোচ অলিভার। আট দেশের অংশগ্রহণে এই আসরে গ্রুপ ম্যাচ শেষে অবস্থান যাই হোক, সব দলই খেলার সুযোগ পাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। বাংলাদেশ অবশ্য শুরুর আগে থেকেই বলে এসেছে তারা হতে চায় গ্রুপ রানার্সআপ। সেক্ষেত্রে কিছুটা দুর্বল দল পাওয়া যাবে শেষ আটের দ্বৈরথে। এ দলটি হতে পারে ঘানা, যাদের সঙ্গে টুর্নামেন্টের আগে তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে (১ হার, ১ ড্র ও ১ জয়) স্বাগতিকরা। আজ ওমানকে হারাতে পারলে সে লক্ষ্য পূরণ হবে জিমিদের। এবং সেই সঙ্গে প্রতিশোধ নিতে পারবে ২০১৫ আসরের হারের। আর হেরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হতে পারে চীন কিংবা মিসর।
×