ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জলঢাকায় ক্লিনিকে রোগীর স্বামীকে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জলঢাকায় ক্লিনিকে রোগীর স্বামীকে নির্যাতন

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ প্রসূতি স্ত্রীর সিজারের জন্য চুক্তি সাড়ে ৭ হাজার টাকা। সিজারের আগেই ক্লিনিকের মালিক টাকা বুঝে নেয়। এবার রোগীর ছাড়পত্র দিতে গিয়ে আরও অতিরিক্ত আরও আড়াই হাজার টাকার জন্য রোগীর স্বামীকে ক্লিনিকের ঘরে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে নীলফামারী জলঢাকা উপজেলা শহরের আল-আমিন ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এমন ঘটনায় এলাকাবাসী ক্লিনিকটি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে। পরে পুলিশ এসে আটক রোগীর স্বামীকে উদ্ধার এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জলঢাকা থানায় সোমবার রোগীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। জানা যায়, উপজেলার পূর্ব খুটামারা (বড়ঘাট) গ্রামের দিলীপ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী সুচিত্রা রানী রায় (২৫) সন্তান প্রসবের জন্য গত বুধবার উপজেলা রোডের আল-আমিন ক্লিনিকে সিজার করার জন্য ভর্তি করা হয়। ভর্তির সময় সিজার এবং ক্লিনিকের ভাড়াসহ মোট ৭ হাজার ৫০০ টাকা ঠিক করেন সুচিত্রার স্বামী দিলীপ। এ জন্য সিজারের আগেই ক্লিনিকের মালিক আল-আমিন টাকা বুঝিয়ে নেন। রবিবার সন্ধ্যায় নবজাতকসহ প্রসূতিকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্লিনিকের লোকজন চুক্তির টাকা বাদে আরও অতিরিক্ত আড়াই হাজার টাকা দাবি করে। অতিরিক্ত দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রসূতির স্বামীকে ক্লিনিকের একটি কক্ষে আটকিয়ে রেখে তাকে (দিলীপ) মারধর ও নির্যাতন করে ক্লিনিকের লোকজন। ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে পড়লে রোগীর আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী ছুটে এসে ক্লিনিকের সামনের বিক্ষোভ ও উপজেলা সড়কটি অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ক্লিনিকে আটক ও নির্যাতনের শিকার রোগীর স্বামীকে উদ্ধার করে। আটক ও মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ক্লিনিকের মালিক আল-আমিন জানান, ঘটনাটি ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ রায় ও আশরাফ কর্তৃক একটি সাজানো নাটক। ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না।
×