ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্যাম্পাস ভাস্কর্য

বিজয় একাত্তর

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিজয় একাত্তর

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় চেতনা ধারণ করে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ভাস্কর্য বিজয় একাত্তর। ক্যাম্পাসে প্রবেশ ফটকের কাছে ছয় দফা চত্বরের বিপরীত পাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এ ভাস্কর্যটি। ভাস্কর্যের কেন্দ্রে রয়েছে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার নজরকাড়া বিপ্লবী ভঙ্গিমা, যা দর্শনার্থীদের মাঝে মুুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করে। ভাস্কর্যটির ডান দিকটায় রয়েছে শাশ্বত বাংলার সর্বস্বত্যাগী ও সংগ্রামী মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চেও ঐতিহাসিক ভাষণের কারুকার্যখচিত ছবি। যেখানে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার জনসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছেন। আর বামদিকে রয়েছে একদল মুক্তিকামী সাহসী মুক্তিযোদ্ধা; যারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে লাঠি, ছোরা, রাইফেল, গ্রেনেড নিয়ে তেজো দীপ্তচিত্তে বাংলাকে হানাদার শক্ত করতে সদাসংকল্পবদ্ধ। এই ভাস্কর্যটির আকার, আয়তন এবং ফর্মেও বিন্যাসে আমাদের জাতীয় জীবনের প্রত্যেকটি ঘটনা এবং বিষয়ের সংখ্যাগুলোকে আয়তন এবং মেসেজ এর মাধ্যমে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। মূল বেদীর বাহিরের দৈর্ঘ্য ৭১ ফুট যা ’৭১ এ স্বাধীনতাযুদ্ধ থেকে আমাদের বিজয়ের গৌরবকে প্রকাশ করে। আর ৫২ ফুট প্রস্থ আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। মূল বেদীর উচ্চতা ২১ ফুট আর সৈনিকের অবয়ব ১৬ ফুট। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতিকে জাগ্রত ও অম্লান করে রাখার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে এ ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত টাঙ্গাইলে নান্দনিক এ ভাস্কর্যটি তুলির স্পর্শে ফুটিয়ে তুলেছেন বিখ্যাত ভাস্কর সৈয়দ সাইফুল কবীর রঞ্জু। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব গাথা বিজয়ের ইতিহাস সম্পর্কে দর্শনার্থীদের ধারণা দেয় এ বিজয় একাত্তর ভাস্কর্যটি। আর তাই এ ভাস্কর্যটি দেখতে প্রতিদিন অগণিত মানুষ ক্যাম্পাসে ভিড় জমায়। লেখা ও ছবি : মো. রেদোয়ান হোসেন
×