ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় ৫-৭ লাখ শ্রমিক পাঠানো হবে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

মালয়েশিয়ায় ৫-৭ লাখ শ্রমিক পাঠানো হবে : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ১৫ লাখ বাংলাদেশি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৫ থেকে ৭ লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়া পাঠানো হবে। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘আনটোল্ড স্টোরিজ অব মাইগ্রেন্ট : ড্রিম অ্যান্ড রিয়েলিটি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়া অনেকের কাছে নেশার মতো। এ নেশা কমাতে হবে। দেখা গেছে বিভিন্ন প্রতারকের বুদ্ধি ধরে অনেকে ৬-৭ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যান। তারা চিন্তা করেন বিদেশ দিয়ে একদেশ থেকে অন্যদেশে পাড়ি দিবেন। কাড়ি কাড়ি টাকা আয় করবেন। আরো কত কী। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, অনেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করেন। দেখা যায় দীর্ঘ ৩-৪ বছর ধরে কাজ করেও তার বিদেশ যাওয়ার খরচ উঠাতে পারেন না। তাই সবাইকে এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আর এ সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যম কর্মীদের আরো বেশি আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারিভাবে বিদেশে দক্ষ জনবল প্রেরণের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে স্বল্প খরচে ও উপায়ে তারা বিদেশ যেতে পারছে। বৈধ উপায়ে অনেক টাকা আয় করতে পারছে। এ বছর প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ লোক মালয়েশিয়া যেতে পারবে। তবে যে ব্যক্তি যে কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে যাবে তাকে সে কাজই করতে হবে। ভিন্ন কাজে শিফট করার সুযোগ নেই। শাহরিয়ার আলম বলেন, অনেকে অপপ্রচার চালায় সরকারিভাবে যেসব নারী বিদেশ যাচ্ছেন তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অধিকাংশই ভালোভাবে তাদের নির্ধারিত চাকরি করছেন। দুই একজন এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। তা আমাদের মাথায় আছে। সে বিষয়ে সরকার কাজ করছে। তবে ঢালাওভাবে এমন অভিযোগ ঠিক না। দুই একজন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারেন না। কিন্তু এর মানে এ নয় যে তারা সমস্যার মধ্যে আছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি ড. সাইয়েদ রিফাত আহমেদ, ইন্সফাইরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেগম মুনমুন রহমান, সেন্ট্রাল ওমেনস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক পারভিন হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম, বিএমইটির ডিজি মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।
×