ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে ৭০ বিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে ৭০ বিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ থেকে ৭০ বিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে মন্তব্য করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি হোসেইন খালেদ বলেছেন, ২০৪১ সালে পোশাক শিল্পের রফতানি আয় ১৩৫ বিলিয়ন ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়ন করা হলে এ খাতে আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। ইতোমধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে এ খাত থেকে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিসিসিআইর নিজস্ব কার্যালয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ‘নিউ ইকোনমিক থিংকিং : বাংলাদেশ ২০৩০ এ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ ডিসেম্বর। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সেমিনারটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিনব্যাপী ওই সেমিনারে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ অন্য মন্ত্রীরা। রাজধানীর রেডিসন ব্লুতে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ৫ টি সেশনে দিনব্যাপী আলোচনায় ৫৫ বক্তা অংশ নেবেন, যার ১৫ জনই বহির্বিশ্বের। ডিসিসিআই সভাপতি হোসেইন খালেদ বলেন, ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত দেশে এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করছি। ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পারব বলে আশা করছি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছি। অবকাঠামোগত নানা দুর্বলতার কারণে প্রতিবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ২ শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ পিছিয়ে পড়ছি। দিনব্যাপী আলোচনা থেকে যে আউটকাম হবে, তা পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর সহসভাপতি কে আতিক-ই রাব্বানি, সহসভাপতি হোসেইন এ সিকদার। বাজারে আসছে নতুন ৫ টাকার নোট অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী সপ্তাহে বাজারে আসছে নতুন ৫ টাকার নোট। হালকা নীলচে আভার এই নোটটি বাজারে বর্তমান ৫ টাকার ব্যাংক নোট ও সরকারী নোটের সঙ্গেই বিনিময়যোগ্য হবে। জানা যায়, বাজারে প্রচলিত ৫ টাকার ব্যাংক নোট ও সরকারী নোট নিয়ে যে বিভ্রান্তি আছে তা দূর করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমেদ স্বাক্ষরিত এই নোটের দুটি সংস্করণ বাজারে আসছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুন মাসে অর্থসচিবের স্বাক্ষর করা ৫ (পাঁচ) টাকার নোট বাজারে আসার আগে এটি ব্যাংক নোট হিসেবে ছিল। তবে ৫ জুন প্রথমবারের মতো সরকারী নোট হিসেবে পাঁচ টাকার নোট বাজারে আসে। তার আগে ২০১৫ সালের ২১ নবেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পাঁচ টাকাকে ব্যাংক নোট থেকে সরকারী নোটে রূপান্তর করার প্রস্তাবে সম্মতি দেন। এর পরই অর্থসচিব মাহবুব আহমেদের স্বাক্ষরে নতুন পাঁচ টাকার নোট ছাপার কাজে হাত দেয় সরকার। নতুন ব্যাংক নোটে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’ লেখা থাকে তিন জায়গায়। সামনের অংশে বাংলায় একবার, পেছনের অংশে একবার বাংলায় ও একবার ইংরেজীতে। এছাড়া সামনের অংশে টাকার অঙ্ক উল্লেখসহ লেখা থাকে ‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকবে’। বাজারে প্রচলিত ৫ টাকা থেকে ১ হাজার টাকার নোটে এগুলো আছে। কিন্তু সরকারী নোট হয়ে যাওয়ায় অর্থসচিব স্বাক্ষরিত নতুন পাঁচ টাকার নোটে এই কথাগুলো থাকবে না। লেখা থাকবে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।’
×