ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জাদুঘর হচ্ছে ম্যারাডোনার বাড়ি

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৩১ অক্টোবর ২০১৬

জাদুঘর হচ্ছে ম্যারাডোনার বাড়ি

অনলাইন ডেস্ক ॥ আর্জেন্টিনার রাজধানীতে যে বাড়িতে দেশটির তারা ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার ছেলেবেলার বেশ কিছু সময় কেটেছে, সেটাই এখন পরিণত হতে যাচ্ছে তার জাদুঘরে। কাঠের তৈরি এই দোতলা বাড়িতেই থাকতেন ফুটবলের রাজপুত্র। ভিলা ফিয়ারিতোর শহরতলি অঞ্চল থেকে পরিবারসহ বুয়েনস আইরেসে এই বাড়িতে উঠেছিলেন ম্যারাডোনা। ১৯৭৮ সালে তার প্রথম সই ছিল আর্জেন্টিনাস জুনিয়র সকার ক্লাবে। ক্লাবের পক্ষ থেকেই এই বাড়ি দেওয়া হয়েছিল তাকে। দোতলায় থাকতেন ম্যারাডোনা। আসবাবপত্র বলতে শোয়ার খাট, একটা ছোট্ট টেবিল, নাইট ল্যাম্প। সব কিছু রাখা হয়েছে একদম আগের মতোই। যদিও বাড়িটি সত্যি মারাডোনার কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। সেই মতো সব ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ম্যারাডোনা ছোটবেলার বেশ কয়েকটি ছবি লাগানো হয়েছে বাড়ির ঠিক সামনে। ম্যারাডোনা যখন থাকতেন তখন বাড়িটির নাম তার বাবা ডন দিয়েগোর নামে ছিল। এখনও তা অবিকল রয়েছে। আর আছে আর্জেন্টিনোসের সেই চুক্তির খসড়া। তখন ম্যানেজার পদে ছিলেন আলবার্তো পেরেজ। বাড়ির যে জায়গায় ম্যারাডোনা তার ভাইদের সঙ্গে পিংপং দিয়ে খেলতেন, সেখানে দাঁড়িয়েই পেরেজ বলছিলেন, “ছোটবেলায় আমরাই ম্যারাডোনাকে প্রথম চিনেছি। ওকে গড়ে তুলেছি নিজেদের মতো। ক্লাবের কাছে ও ঈশ্বরের মতো ছিল। ম্যারাডোনাও আমাদের যথেষ্ট ভালবাসত। আমরা ওর জন্য গর্বিত। কারণ তার জন্যই বিশ্ব এখন আমাদের সবাইকে চিনেছে৷” প্রসঙ্গত, আর্জেন্টিনাসের এই সাবেক ম্যানেজার একক কৃতিত্বেই ছাত্রের পুরনো জিনিসগুলো জোগাড় করেছেন। এবার সেগুলো তুলে ধরতে চান গোটা বিশ্বের মানুষের সামনে। ম্যারাডোনার মিউজিয়াম দেখতে অর্থ খরচ হবে না। কিংবদন্তির ফ্ল্যাশব্যাক সবাই দেখতে পারবেন ফ্রিতেই। ১৯৮১ সালে বোকা জুনিয়র্সে যোগ দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। তখন এই কাঠের দোতলা বাড়ি ছেড়ে দেন। তারপর থেকে এতদিন এই বাড়ির দখল নিয়ে ছিলেন এক মহিলা। মামলা-মোকদ্দমা চলে বেশ অনেকদিন। আট বছর আগে এই বাড়ি কিনে নেন পেরেজ। খসেছিল এক লাখ মার্কিন ডলার। তারপর বাড়িটিকে একদম আগের মতো সাজিয়ে তোলায় মন দেন তিনি। ম্যারাডোনার ব্যবহৃত জিনিসগুলোর অনুকরণে আসবাবপত্রও জোগাড় করেছেন তিনি। নিঃসন্দেহে ম্যারাডোনার ভক্তদের জন্য এই জাদুঘর যে এক তীর্থস্থান হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
×