ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেসি-রোনাল্ডোকে টপকে সেরা গ্রিজম্যান

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৬

মেসি-রোনাল্ডোকে টপকে সেরা গ্রিজম্যান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে আধিপত্য ভাঙল সময়ের দুই সেরা সুপারস্টার লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। এ দু’জনকে টপকে স্প্যানিশ লা লিগার ২০১৫-১৬ মৌসুমের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান। সোমবার রাতে স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় জমকালো আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগের সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়। সেরা ফুটবলার হতে না পারলেও সেরা ফরোয়ার্ড হয়েছেন বার্সিলোনার মেসি। এছাড়া এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দিয়াগো সিমিওনে সেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন। বার্সিলোনার উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ জিতে নিয়েছেন ইউরোপের বাইরের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব। পুরস্কারপ্রাপ্তিতে আধিপত্য ছিল এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। সেরা গোলরক্ষক হিসেবে তাদেরই ইয়ান ওবলাক, সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে দিয়াগো গডিন ও সমর্থকদের বিচারে সেরা হয়েছেন ফরাসী তারকা গ্রিজম্যান। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একমাত্র পুরস্কার জিতেছেন লুকা মডরিচ। ক্রোয়েশিয়ান তারকা তিনি জিতেছেন সেরা মিডফিল্ডারের পুরস্কার। স্প্যানিশ এ্যাওয়ার্ডে মেসি তাও মঞ্চে উঠতে পেরেছেন। কিন্তু একেবারেই হাত খালি থেকেছে। সি আর সেভেনের সঙ্গে শূন্য থাকতে হয়েছে রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস, গ্যারেথ বেল, করিম বেনজামাদেরও। ফিফা ব্যালন ডি’অর থেকে শুরু করে যে কোন পুরস্কারেই বিগত বছরগুলোতে একক আধিপত্য দেখা গেছে রোনাল্ডো ও মেসির। এ দু’জনই ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বেশিরভাগ পুরস্কার। এবারই সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালেন ২৫ বছর বয়সী গ্রিজম্যান। এ্যাওয়ার্ড জয়ের পর তিনি বলেন, আমি খুশি। এটা অনেক গৌরবের। মেসি ও রোনাল্ডোর মতো সুপারস্টারদের পেছনে ফেলে আমি সেরা হয়েছি। এটা অসাধারণ অনুভূতি। স্প্যানিশ লা লিগার সেরা হওয়ার পর ফিফা বর্সসেরা ও ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়েও ভালমতো আছেন গ্রিজম্যান। সোমাবার ২০১৬ সালের ব্যালন ডি’অরের জন্য ৩০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে ফ্রাঞ্চ ফুটবল। যেখানে আছেন গ্রিজম্যানও। ধারণা করা হচ্ছে, এবার ইউরোপ সেরা হয়ে যেতে পারেন দারুণ ফর্মে থাকা এই স্ট্রাইকার। এছাড়া ২০১৬ সালের ফিফা বর্ষসেরার দৌড়েও ভালমতো আছেন গ্রিজম্যান। এদিকে বছর জুড়ে উজ্জ্বল পারফর্মেন্সের স্বীকৃতি পেয়েছেন পর্তুগালের তরুণ মিডফিল্ডার রেনাটো সানচেজ। উদীয়মান তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বয়’ জিতেছেন বেয়ার্ন মিউনিখের এই খেলোয়াড়। ইউরোপীয় ফুটবলে এক পঞ্জিকা বর্ষে ধারাবাহিক ভাল খেলা ২১ বছর বা এর কম বয়সী খেলোয়াড়দের মধ্যে থেকে সেরাকে এই পুরস্কার দিয়ে থাকে ক্রীড়া সাংবাদিকরা। ২০০৩ সালে প্রচলিত হওয়া পুরস্কাটি ২০১৫ সালে পেয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ্যান্টোনিও মার্শিয়াল। তার আগের বছর জেতেন বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা রাহিম স্টার্লিং। ২০১৩ সালে পুরস্কারটি পান চলতি মৌসুমে ট্রান্সফার ফির বিশ্বরেকর্ড গড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয়া পল পোগবা। ২০০৫ সালে পুরস্কারটি জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। তার আগের বছর জেতেন ইংল্যান্ডের ওয়েন রুনি। বর্তমানের অন্যতম সেরা তারকা রোনাল্ডো কখনই এই পুরস্কার জিততে পারেননি। সানচেজ সেরা হতে পেছনে ফেলেন ক্লাব সতীর্থ কিংসলে কোম্যান ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্ট্রাইকার মার্কাস রাশফোর্ডকে। মন্টিকার্লোয় এক অনুষ্ঠানে পর্তুগীজ তারকার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেয়া হবে। সেরা হওয়ার পর সানচেজ বলেন, আমি উচ্ছ্বাসিত এবং আমি গোল্ডেন বয় (পুরস্কার) পরিবারকে উৎসর্গ করছি। এই পুরস্কারের বৈশ্বিক তাৎপর্য আছে, কিন্তু আমি মাটিতেই পা রাখব। আমার এখনও অনেক কিছু শেখার আছে।
×