ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেসিসির পশুর হাটে রেকর্ড রাজস্ব

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কেসিসির পশুর হাটে রেকর্ড রাজস্ব

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মহানগরীর জোড়াগেট এলাকায় পরিচালিত একমাত্র পশুর হাট থেকে এবার রেকর্ড পরিমাণ এক কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৩ টাকার রাজস্ব বা খাজনা আদায় হয়েছে। পশু বিক্রি হয়েছে মোট নয় হাজার ২৪৪টি। কেসিসি সূত্র জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর নগরীর জোড়াগেট এলাকায় কোরবানির পশুর হাট উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আনিছুর রহমান বিশ্বাস। ঈদের দিন ভোরে এ হাট শেষ হয়। এবার কেসিসি পরিচালিত এ হাটে মোট নয় হাজার ২৪৪টি পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সাত হাজার ৬২৭টি গরু, এক হাজার ৬১২টি ছাগল এবং ভেড়া বিক্রি হয়েছে পাঁচটি। এসব পশু বিক্রির বিপরীতে মোট রাজস্ব বা খাজনা (হাসিল) আদায় হয়েছে এক কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৩ টাকা, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। যদিও রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ছিল দুই কোটি টাকা। ঈদের আগের দিন অতিবৃষ্টির কারণে হাটে ক্রেতাদের আগমনে বিঘœ ঘটায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি বলে কেসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন। সূত্র জানায়, একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েও কাক্সিক্ষত ইজারাদার না পাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে কেসিসির নিজস্ব তত্ত্বাবধানে জোড়াগেট এলাকায় কোরবানির পশুর হাট পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানকার পশুর হাট থেকে ২০১০ সালে ৯১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩৮ টাকা, ২০১১ সালে ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪২১ টাকা, ২০১২ সালে ৯২ লাখ ৭০ হাজার ৯৮৯ টাকা, ২০১৩ সালে এক কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬৬ টাকা, ২০১৪ সালে এক কোটি ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার ৮০ টাকা, ২০১৫ সালে এক কোটি ৭৩ লাখ ছয় হাজার ৭১০ টাকা এবং সদ্য সমাপ্ত কোরবানির হাট (২০১৬) থেকে এক কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৪৩ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় তৃতীয় শ্রেণীর সচিব স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৌরসভা বাংলাদেশের শহর এলাকার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও পৌর সমস্যা প্রকট থেকে প্রকটতর আকারে দেখা দিতে চলেছে। এসব সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান ও পৌর এলাকায় বসবাসকারী সম্মানিত নাগরিক জীবনের সুযোগ-সুবিধা বিধানের দায়িত্ব নির্বাচিত পৌরসভা মেয়র ও কাউন্সিলরদের ওপর ন্যস্ত। তাদের আইনানুগ দায়িত্ব ও বিধিনিষেধ সম্পর্কে সার্বিক ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশে প্রায় ৩২৫ টির মতো পৌরসভা রয়েছে। তার মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীর পৌরসভা রয়েছে। যেমন ১ম, ২য়, ৩য় ও বিশেষ শ্রেণীর পৌরসভা। পৌরসভার দৈনন্দিন কাজকর্ম তদারকি করার জন্য পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করার জন্য প্রশাসনিক একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ রয়েছে। যার নাম পৌরসচিব। পৌরসভার শ্রেণীভেদে সচিবদেরও শ্রেণীভেদ রয়েছে। যেমন বিশেষ শ্রেণীর পৌরসভার বিশেষ শ্রেণীর সচিব, ঠিক তেমনি ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণীর সচিবগণ নিয়োগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু কোন প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় যদি ৩য় শ্রেণীর কোন পৌরসচিব কর্মরত থাকেন তাহলে সেটা পৌরবাসীর জন্য দুর্ভাগ্যজনকই বলতে হয়। তেমনি সুনামগঞ্জ জেলার শিল্পশহর নামে খ্যাত ছাতক পৌরসভা একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। কিন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ছাতক পৌরসভায় বর্তমানে যিনি সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি একজন তৃতীয় শ্রেণীর সচিব। যিনি দীর্ঘদিন সুনামগঞ্জ পৌরসভায় অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পরবর্তীতে অনেক চড়াইউৎরাই পার করে তৃতীয় শ্রেণীর সচিব হিসাবে প্রমোশন পেয়ে তৎকালীন সময়ের তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা ছাতকে যোগদান করেন। বর্তমানে ছাতক পৌরসভা একটি প্রথম শ্রেণীর মর্যদাসম্পন্ন পৌরসভা বিধায় বর্তমানে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণীর সচিব সেখানে প্রথম শ্রেণীর সচিব হিসেবে কর্মরত থাকা প্রশ্নবিদ্ধ। তাই অনেকেই মনে করেন, তাকে জেলার তৃতীয় শ্রেণীর অন্য কোন পৌরসভায় বদলি করা উচিত।
×