ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করুন, সব সহায়তা দেয়া হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৯ আগস্ট ২০১৬

নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করুন, সব সহায়তা দেয়া হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমিত পণ্যের ওপর নির্ভরতা কাটানোর পাশাপাশি দেশের রফতানি খাত সমৃদ্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সীমিত পণ্যের ওপর দেশের রফতানি নির্ভরতা দেশের রফতানি বাণিজ্যের অন্যতম দুর্বলতা। তাই কোন্ দেশে কোন্ পণ্যের চাহিদা রয়েছে তা ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য পণ্যের বহুমুখীকরণও অপরিহার্য। এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতীয় রফতানি ট্রফি’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে রফতানি বাণিজ্যের বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা পর্যায়ে ১১৩ প্রতিষ্ঠানের মাঝে জাতীয় রফতানি ট্রফি প্রদান করেন। ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য সর্বমোট ৫২ স্বর্ণ, ৩৭ রৌপ্য এবং ২৪ ব্রোঞ্জ ট্রফি ও সনদ প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন অনেক নতুন নতুন পণ্য বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। কারণ বিশ্বের বহু দেশ এবং মানুষের চাহিদা দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন। সরকার এখানে ব্যবসা করতে আসেনি। তবে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সার্বিক অগ্রগতির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা যাতে দ্রুত উন্নতি হয় সেজন্য সরকার সব ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেবে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন, এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে সীমিত পণ্যের ওপর দেশের রফতানি নির্ভরতা দেশের রফতানি বাণিজ্যের অন্যতম দুর্বলতা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি বাণিজ্যের এ সমস্যা দূর করার জন্য আমরা পণ্য তালিকায় নতুন নতুন পণ্যের সংযোজন এবং কম অবদান রাখছে এমন পণ্যের রফতানি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে দশটির কাজ এগিয়ে চলছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পণ্য ও বাজার বহুমুখী করার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অধিক মূল্য সংযোজিত পণ্য উৎপাদনে ও দেশজ কাঁচামালনির্ভর রফতানি পণ্য উৎপাদনে আপনাদের মনোনিবেশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বের উন্নত দেশ এমনকি উন্নয়নশীল দেশে শ্রমশক্তির প্রকট অভাব। এজন্য আমরা শ্রমঘন শিল্প প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব প্রদান করেছি। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে কেউ আর জঙ্গীবাদের দিকে ঝুঁকবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনশক্তি অর্থনৈতিক সম্পদ। এ দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ ৪০ বছর বা তার চেয়ে কম বয়সী। বয়স্ক মানুষের সংখ্যাধিক্য এবং কর্মঠ মানুষের ঘাটতির কারণে শ্রমঘন শিল্পে বিশ্বের শক্তিশালী দেশসমূহ ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ যাতে সে জায়গা পূরণ করতে পারে তার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের রফতানি খাতের সেøাগান হচ্ছে ‘ফ্রম শার্ট টু শিপ’। অধিক মূল্য সংযোজিত পণ্য উৎপাদনে ও দেশজ কাঁচামালনির্ভর রফতানি পণ্য উৎপাদনে ব্যবসায়ীদের মনোনিবেশ করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানি উন্নয়নে সম্ভাব্য সব খাতে ২০৪১ সালকে লক্ষ্য ধরে রোপম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ‘রূপকল্প-২০২১’ ঘোষণার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আমরা যখন দায়িত্ব নেই তখন বিশ্বব্যাপী মন্দা চলছিল। তা সত্ত্বেও বিগত সাড়ে সাত বছরে মাথাপিছু আয় প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলার হয়েছে। এ সময়ে রফতানি আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় ১২ দশমিক ৫২ থাকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পরিমাণগত দিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬.৯১ বিলিয়ন ইউনিট রফতানি করেছে, যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২.৪৪ বিলিয়ন ইউনিট। অর্থনৈতিক সাফল্যের পেছনে শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনশক্তির পাশাপাশি সরকারের ব্যবসাবান্ধব উদার নীতিমালা সহায়ক হিসেবে কাজ করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে এবং সিঙ্গাপুরে দুটি নতুন বাণিজ্য উইং খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ব্যবস্থাপনায় বিদেশে ১৯৬টি আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। ২০২১ সালে দেশের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু তৈরি পোশাক খাতেই ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রফতানি পণ্য প্রদর্শনীর জন্য চীনের সহায়তায় মুন্সীগঞ্জ জেলার বাউশিয়াতে প্রায় ৫৩১ একর জমির ওপর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র নামে একটি অত্যাধুনিক গার্মেন্টস শিল্পপার্ক নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন থাকার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ গার্মেন্টস শিল্পপার্কের জন্য দেশের ব্যবসায়ীদের ‘আগ্রহ না থাকার’ কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আপনারা ঢিলেমি করছেন। আশা করি, আগামীতে আপনারা উদ্যোগী হবেন।’ ওষুধ রফতানিতে বাংলাদেশ অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওষুধ একটি বিশাল খাতে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে ১২২টি দেশে ওষুধ রফতানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডব্লিউটিও ট্রিপস চুক্তির মেয়াদ ২০৩২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে ওষুধ রফতানি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দাটা যদি না হতো, আমাদের রফতানির টাকার অঙ্কটা আরও বেশি দেখাতে পারতাম। তারপরও রফতানিতে যা আয় হচ্ছে, সেটা বড় অর্জন। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করেছি। আগে খাদ্য ক্রয় করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতো। এখন তা আর হয় না। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কোন ব্যবসায়ী ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারেননি। তারা ক্ষমতায় থাকতে কেবল স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিজেদের জন্য কাজ করেছে। কিন্তু আমরা দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করি। জাতীয় রফতানি ট্রফি পেল যেসব প্রতিষ্ঠান ॥ ২০১২-১৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রফতানি আয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ২৬ প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ১৯ প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য ও ১৫ প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ ট্রফি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০১১-১২ অর্থবছরে রফতানির আয়ের জন্য ২৪ প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ১৮ প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য ও ৯ প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদান করা হয়েছে। পণ্য খাতে ‘জাবের এ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লি.’ সর্বোচ্চ রফতানি আয় অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১১-১২ অর্থবছরের স্বর্ণ ট্রফির জন্য মনোনীত হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল্লাহ জাবের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৬ পণ্য ও সেবা খাতের ২৬ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, ১৯ পণ্য ও সেবা খাতে ১৯ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে রৌপ্য এবং ১৫ পণ্য খাতে ১৫ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদান করা হয়। ওই বছরের জন্য পণ্য খাতে সর্বোচ্চ রফতানির জন্যও ‘জাবের এ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লি.’-কে স্বর্ণ ট্রফি প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণ করেন। ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ২৪ প্রতিষ্ঠান হলো- হামীম গ্রুপের রিফাত গার্মেন্টস, স্কয়ার ফ্যাশনস, স্কয়ার টেক্সটাইলস, নোমান উইভিং, জাবের এ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স, এ্যাপেক্স ফুডস, পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ, আকিজ জুট, এ্যাপেক্স ট্যানারি, পিকার্ড বাংলাদেশ, এফবি ফুটওয়্যার, এ্যাগ্রি কনসার্ন, প্রাণ এক্সপোর্টস, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, বেঙ্গল প্লাস্টিক, ফার সিরামিকস, ইউনিগ্লোরি সাইকেল, তানভীর পলিমার, বেক্সিমকো ফার্মা, সার্ভিস ইঞ্জিন, ইউনিভার্সেল জিন্স, শাশা ডেনিমস ও মন ট্রিমস। ওই অর্থবছরে রৌপ্যপদকপ্রাপ্ত ১৮ প্রতিষ্ঠান হলো- অনন্ত এ্যাপারেলস, জিএমএস কম্পোজিট, মোশারফ কম্পোজিট, এনভয় টেক্সটাইল, সীমার্ক (বিডি), এফআর জুট, জনতা জুট, এসএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএমএম লেদার, ফার্ম ফ্রেশ, প্রাণ এ্যাগ্রো, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, কোর দ্য জুট ওয়ার্কস, এভারব্রাইট প্লাস্টিক, ট্রান্সওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল, আল-হাবিব এন্টারপ্রাইজ, গ্রাফিকস পিপল ও জিন্স-২০০০। ব্রোঞ্জপদকপ্রাপ্ত ৯ প্রতিষ্ঠান হলো- সিনহা ইন্ডাস্ট্রিজ, ফোর এইচ ফ্যাশনস, ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, কুলিয়ারচর সি ফুডস, রেজা জুট, করিম জুট, আল আজমী ট্রেড ও প্রাণ ফুডস। ২০১২-১৩ অর্থবছরের জন্য স্বর্ণপদকপাপ্ত ২৬ প্রতিষ্ঠান হলোÑ রিফাত গার্মেন্টস, জিএমএস কম্পোজিট, কামাল ইয়ার্ন, সাদ সান টেক্সটাইল, জাবের এ্যান্ড জোবায়ের, নোমান টেরিটাওয়েল, এ্যাপেক্স ফুডস, পপুলার জুট, আকিজ জুট, এ্যাপেক্স ট্যানারি, পিকার্ড বাংলাদেশ, এফবি ফুটওয়্যার, আল-আজমী ট্রেড, প্রাণ ডেইরি, রাজধানী এন্টারপ্রাইজ, কারুপণ্য রংপুর, বেঙ্গল প্লাস্টিক, ফার সিরামিকস, বিআরবি কেবল, মেরিন সেফটি সিস্টেম, স্কয়ার ফার্মা, গ্রাফিক্স পিপল, ইউনিভার্সেল জিন্স, শাশা ডেনিমস, মুন ট্রিমস ও মীর টেলিকম। এ ২৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টি প্রতিষ্ঠান গত অর্থবছরের জন্য পদক তালিকায় রয়েছে। ১৯ রৌপ্যপদকপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- অনন্ত এ্যাপারেলস, স্কয়ার ফ্যাশনস, বাদশা টেক্সটাইল, এনভয় টেক্সটাইল, ইউনিলারেন্স টেক্সটাইল, সীমার্ক (বিডি), রেজা জুট, জনতা জুট, এসএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএমএম লেদার, লালমাই ফুটওয়্যার, মনসুর জেনারেল, প্রাণ এ্যাগ্রো, ক্যাপিটাল এন্টারপ্রাইজ, কোর দ্য জুট ওয়ার্কস, বেঙ্গল প্লাস্টিক, সার্ভিস ইঞ্জিন, প্যাসিফিক জিন্স ও জাবের এ্যান্ড জোবায়ের এক্সেসরিজ। ব্রোঞ্জপদক পাওয়া ১৫ প্রতিষ্ঠান হলো- এ্যাপারেল গ্যালারি, ইন্টারস্টফ এ্যাপারেলস, মোশারফ কম্পোজিট, তালহা ফেব্রিক, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস, উত্তরা জুট, সাদাত জুট, বেঙ্গল লেদার, এবিসি ফুটওয়্যার, ফুটবেড ফুটওয়্যার, এলিন ফুডস, প্রাণ ফুডস, হেলাল এ্যান্ড ব্রাদার্স, আরএফএল প্লাস্টিক ও ইউনিনেগ্নারি পেপারস এ্যান্ড প্যাকেজিং।
×