ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার মেসিকে ফেরার অনুরোধ পেলের

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২ জুলাই ২০১৬

এবার মেসিকে ফেরার অনুরোধ পেলের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লিওনেল মেসির অবসরের সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না কেউই। ফুটবলবিশ্বে সবাই ফিফা সেরা ফুটবলারকে ফিরে আসতে অনুরোধ করছেন। ইতোমধ্যে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টসহ অনেকে মেসিকে অবসর ভাঙ্গার অনুরোধ করেছেন। এই তালিকায় এবার যোগ দিয়েছেন সর্বকালের আরেক সেরা ফুটবলার পেলে। শুক্রবার এক সাক্ষাতকারে মেসিকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে পেলে বলেছেন, গত ১০ বছরের সেরা ফুটবলার মেসি। শুধু পেলেই নয়, মেসিকে ফিরতে অনুরোধ করেছেন ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার রোনাল্ডো, বার্সিলোনার প্রেসিডেন্টসহ অনেকে। কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর কষ্টে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মেসি। তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী তারকা পেলে মনে করেন, এটা মোটেও সঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি। আবেগের বশে এই সিদ্ধান্ত মেসি নিতে পারে না। তার এখনও ফুটবলকে অনেক কিছু দেয়ার আছে। পেলে বলেন, গত ১০ বছর কোন সন্দেহ নেই সে (মেসি) বিশ্বের সেরা ফুটবলার। অনেক সময় হতাশা কাজ করবে, কিন্তু একটি কিক আপনাকে শেষ করে দিতে পারে না। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি বলেন, তার ক্ষেত্রে যা হয়েছে তা সত্যিই খুব বেদনাদায়ক। কিন্তু এটাও সত্য, অনেক তারকা ফুটবলার পেনাল্টি মিস করেছে। আমার বিশ্বাস মেসি তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড রোনাল্ডো অত্যন্ত মনোকষ্ট পেয়েছেন মেসির সিদ্ধান্তে। তিনি তো নিজেকে বঞ্চিতই মনে করছেন। এক সাক্ষাতকারে বড় রোনাল্ডো বলেন, এটা মেসির খুবই ব্যক্তিগত একটা সিদ্ধান্ত। আর আমাদের সেটাকে সম্মান করতে হবে। কিন্তু আমরা সবাই নিজেদের বঞ্চিত বলে মনে করছি। আশা করছি, তিনি নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন। মেসির দুঃখটা রোনাল্ডো ভালই বুঝতে পারছেন। কেননা ১৯৯৫ কোপা আমেরিকা ছিল তার ব্রাজিলের হয়ে প্রথম বড় টুর্নামেন্ট। আর সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ব্রাজিল হার মানে উরুগুয়ের কাছে টাইব্রেকার নামক ভাগ্যপরীক্ষায়। ১৯৯৮ বিশ্বকাপেও হতাশ হতে হয়েছিল রোনাল্ডোকে। তখন মাত্র ২১ বছর বয়সেই রোনাল্ডোর নাম উচ্চারিত হতে শুরু করেছিল সর্বকালের সেরাদের কাতারে। কিন্তু সেবার ফাইনালটা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কালো অধ্যায় হয়ে থেকেছে। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালের আগে তার অসুস্থতা। পরে খেললেও ফরাসীদের কাছে হারতে হয়েছিল। কোপা আর বিশ্বকাপের ট্রফি ছোঁয়ার কাছাকাছি থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল রোনাল্ডোকে। সেই রোনাল্ডো পরবর্তীতে ১৯৯৭ ও ’৯৯ এর কোপা এবং ২০০২ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতেন। নামের পাশে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড থাকলেও সেটিতে অবশ্য তিনি ছিলেন ক্ষুদে বালক। খেলা হয়নি একটি ম্যাচও। এসব পরিসংখ্যান মেসির জন্য আশীর্বাদ হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। রোনাল্ডো যেমন দুইবার ফাইনালে হেরে পরে সাফল্য পেয়েছিলেন তেমনি মেসিরও ভবিষ্যতে সফল হওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। এদিকে টানা তৃতীয় ফাইনালে হারের দুঃখ কাটাতে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছেন মেসি। জানা গেছে, দ্বীপরাষ্ট্র বাহামায় গেছেন বার্সিলোনা তারকা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলের সঙ্গে আর্জেন্টিনায় ফেরেন মেসি। পরিবারের সঙ্গে জন্মস্থান রোজারিওতে কয়েক দিন কাটিয়েছেন। এরপর তিনি ঘুরতে বের হয়েছেন। বান্ধবী এ্যান্টোনিলা রোকোজ্জু ও দুই ছেলেকে নিয়ে কোথায় বের হয়েছেনÑ মেসি তা জানাননি। কিন্তু তার একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি বিমানবন্দরে আছেন। জানা গেছে, মেসি বাহামা দ্বীপপুঞ্জের বিমানে চড়েছেন। বাহামায় সময় কাটানোর পর ক্রোয়েশিয়া যেতে পারেন রেকর্ড সর্বোচ্চ পাঁচবারের ফিফা সেরা তারকা।
×