ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে বরাদ্দ

পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে পিছিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ২৫ জুন ২০১৬

 পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে পিছিয়ে  বাংলাদেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ জিডিপির তুলনায় শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দে পার্শ¦বর্তী দেশগুলো থেকে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা জিডিপির ২ দশমিক ৭০ শতাংশ। অথচ ইউনেস্কোর ঘোষিত দেশ হিসেবে এ খাতে বরাদ্দ দেয়ার কথা ছিল জিডিপির ৬ শতাংশ, যা মোট বাজেটের ২০ শতাংশ। শুক্রবার সকালে ঢাবির পুরাতন সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘বাজেট ২০১৬-১৭ পর্যবেক্ষণ ও মতামত’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যই দিয়েছে ঢাবির সেন্টার অন বাজেট এ্যান্ড পলিসি। আলোচনা করেন সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক। অধ্যাপক ড. মোঃ আবু ইউসুফ বলেন, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বাজেটের বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ। আমাদের দেশে এ খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ২ দশমিক ৭০ শতাংশ। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়ায় জিডিপির ৬ দশমিক ২০ শতাংশ, মালদ্বীপে ৮ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৬ দশমিক ২০ এবং ভারতে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ ব্যয় হয়ে থাকে। তাই এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। বাজেট বাড়ানোর সঙ্গে সেগুলোর যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতোই বাজেট বাস্তবায়নে কিছু পরিচিত চ্যালেঞ্জ থাকবে। তাই সফল বাজেট বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার সবচেয়ে জরুরী। বাজেট বাস্তবায়নে সংসদীয় কমিটি ও স্থানীয় সরকারের অধিকতর সংশ্লিষ্টতা প্রয়োজন। বিশদ কর্মপরিকল্পনা অনুসারে প্রতিটি পর্যায়ের কার্যক্রমসমূহ মূল্যায়ন করা দরকার। এমনকি ত্রৈমাসিক রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে কাজের পর্যবেক্ষণ ও ত্রুটি সংশোধন করা যেতে পারে। উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য এটি উচ্চাভিলাসী বাজেট নয়। বাজেটে শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দেয়া আমাদের দাবি ছিল। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়াতে ব্যয় করতে হবে। যদি প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়ানো না যায় তাহলে উচ্চশিক্ষায় এর প্রভাব পড়বে। এছাড়াও প্রযুক্তিখাতে পৃথক বরাদ্দ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। উপাচার্য বলেন, উন্নত দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। আমাদের দেশে সেটি সম্ভব না হলেও শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দিয়ে বাজেট পাস করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ ও অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম প্রমুখ।
×