ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র সময়োপযোগী করা হবে

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১০ জুন ২০১৬

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র সময়োপযোগী  করা হবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আগামী ১০ ও ১১ জুলাই আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলটির গঠনতন্ত্র সময়পোযোগী করা হবে। দলীয় সভানেত্রীর ক্ষমতা বৃদ্ধি; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদকের মতো পদ সংযোজনসহ গঠনতন্ত্রে নানা পরিবর্তন আসছে। গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য দেশের সব জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার ওই চিঠির উত্তর দেয়ার শেষ সময়। অবশ্য কেউ কেউ টেলিফোনেও অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্মেলন সফল করতে গঠিত দলের গঠনতন্ত্র উপ-পরিষদের এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র উপকমিটির সদস্য ও প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বিশ্বের রাজনীতিতে অত্যন্ত শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব। সুতরাং আমাদের গঠনতন্ত্রের ঘোষণাপত্রে এর প্রতিফলন থাকবে। আগের সভানেত্রীর সেই ক্ষমতা রাখলে চলবে না। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দেন তিনি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আওয়ামী লীগ হলো জনগণের পার্টি। যা করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করে। বাংলাদেশের ইতিহাস হলো আওয়ামী লীগের ইতিহাস। আমাদের পবিত্র সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বাধীনতার রাজনৈতিক ঘোষণার দলিল হিসেবে এটা দেয়া হয়েছে। এটার বিপরীতে কেউ কথা বললে তার শাস্তি আছে। স্বাধীনতার ঘোষণাও এখন সংবিধানের অংশ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস আর বাংলার ইতিহাস তো এক। এখন সংবিধানের ধারাগুলো আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে আসবে। সভার শুরুতে গঠনতন্ত্র উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, এবারের কাউন্সিলে দলের গঠনতন্ত্র সময়পোযোগী করা হবে। কিছুদিন আগেও ইউনিয়ন, পৌরসভা নির্বাচন নির্দলীয় হতো। এখন এগুলো দলীয় ভিত্তিতে করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের গঠনতন্ত্রে এই নির্বাচনটি পরিচালনা করার বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই। জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী বাছাই করতে আমাদের সংসদীয় বোর্ড আছে। আমরা ওই কমিটি একটু বাড়িয়ে ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রার্থীদের বাছাই করেছি। এটা একটা অন্তর্র্বর্তীকালীন ব্যবস্থা ছিল। ভবিষ্যতে এটা আমরা কীভাবে করব, সেটা গঠনতন্ত্রে আসবে। তিনি বলেন, নতুন দু-একটি বিভাগ হয়েছে, সেগুলোতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করা হতে পারে। জনসংখ্যার আনুপাতিক বিবেচনায় সভাপতিম-লীল সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ বাড়বে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক রয়েছেন। এখন কথা উঠেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক করার বিষয়ে। তিনি বলেন, আমরা একটা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব কাউন্সিলে পেশ করব। সেখানেও অনেক সদস্য প্রস্তাব দেয়ার সুযোগ পাবেন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থাকবেন। আর সেখানেই গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডাঃ দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আবদুর রহমান, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সুজিত রায় নন্দী, ব্যারিস্টার ফজলে নূর হোসেন তাপস এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ঘোষণাপত্র ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সভা আজ ॥ এদিকে সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে আজ শুক্রবার ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘোষণাপত্র এবং প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির আহ্বায়ক, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীল সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। একই স্থানে বেলা ১১টায় দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচটি ইমাম। সভা দুটিতে উপস্থিত থাকার জন্য ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এবং প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. হাছান মাহমুদ অনুরোধ জানিয়েছেন।
×