ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে ॥ ইনু

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ৬ জুন ২০১৬

জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে ॥ ইনু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে সমাজে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা যত নিশ্চিত হবে দেশে ততই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। গণতন্ত্র সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজন বস্তুনিষ্ঠ ও নৈতিকতাপূর্ণ গণমাধ্যম। এভাবে দেশে যত দুর্নীতি কমাতে পারবেন, গণতন্ত্র তত মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ জন্য গণমাধ্যমকেই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। রবিবার রাজধানীর বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) কার্যালয়ে আয়োজিত ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে গণমাধ্যম পুরস্কার-২০১৬’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন। তৃতীয় বারের মতো এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। পিআইবি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। জার্মান সরকারের সংস্থা জিআইজেডের অর্থায়নে প্রদত্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিবেদন করার জন্য ৫ ক্যাটাগরিতে সারাদেশের মোট ৫ জন সাংবাদিককে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন টেলিভিশন সাংবাদিকতায় চ্যানেল ২৪-এর স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুল আলম, জাতীয় পত্রিকা ক্যাটাগরিতে প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কুন্তল রায়, আঞ্চলিক পত্রিকা ক্যাটাগরিতে সিলেটের ডাকের স্টাফ রিপোর্টার শাহ সোহেল আহমেদ, টেলিভিশন ক্যামেরাপার্সন ক্যাটাগরিতে এনটিভির ক্যামেরাম্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, আলোকচিত্র ক্যাটাগরিতে দৈনিক সমকালের ফটোগ্রাফার কাজল হাজরা। পুরস্কার প্রাপ্তদের জার্মানীর বনে অনুষ্ঠিতব্য আগামী ১৩ থেকে ১৫ জুন গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম ২০১৬ তে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান বলেন, আমাদের দেশে এখন মোট ২ হাজার ৮০০টি গণমাধ্যমের প্রতিষ্ঠান আছে। যার মধ্যে ২৮টি টেলিভিশন ও ১৬টি বিভিন্ন প্রকারের রেডিও আছে। এছাড়া আরও ১৩টি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় দেশে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে। কিন্তু যে অনুসারে বিস্তৃতি ঘটেছে সে অনুসারে কর্মসংস্থান ঘটেনি। বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠানেই দক্ষ কোন সাংবাদিক নাই। দুদক সচিব আবু মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্নীতি দমনে সরকারের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হচ্ছে দুদক। কিন্তু মাত্র ৮ থেকে ৯ শত জনবল নিয়ে বাংলাদেশের মতো দেশের দুর্নীতি দূর করা বা প্রতিরোধ করা এক প্রকারের অসম্ভব বটে। এজন্য সমাজের সকল স্তরের লোকদের অংশগ্রহণ খুব প্রয়োজন। দুর্নীতি দমনে চাই জনসচেতনতা ও সম্পৃক্ততা। যার প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে গণমাধ্যম। দুর্নীতি কারণে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে। বিশ্ব ব্যাংকের এক তথ্য অনুযায়ী- বাংলাদেশ যদি দুর্নীতি লাগাম টেনে ধরতে পারত তাহলে জিডিপিতে আজ আরও দুই ধাপ এগিয়ে যেত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপত্বিতে আরও বক্তব্য রাখেন- তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ, জার্মান হাইকমিশনের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ফার্ডিনান্ড ফন ভাইয়ো, দুদকের মহাপরিচালক ড. শামসুল আরেফিন এবং পিআইবির মহাপরিচালক মোঃ শাহ আলমগীর।
×