ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর বাতাসে পাকা আমের গন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১ জুন ২০১৬

রাজশাহীর বাতাসে পাকা আমের গন্ধ

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ সুমিষ্ট ও রসালো আমে এখন ভরপুর আমসমৃদ্ধ রাজশাহীর বাজার। উপযুক্ত সময়ে গাছের পাকা আমের সুমিষ্ট গন্ধ সবখানে। বলতে গেলে রাজশাহীজুড়ে এখন আম আর আম। শহরের পাড়া-মহল্লার-অলিগলি থেকে গ্রামের হাটবাজার সর্বত্রই আমের কারবার। পাড়ার মোড়ে মোড়ে অলিগলিতের আমওয়ালাদের হাঁকডাকে সরগরম চারদিক। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে এবার সঠিক সময়ে জমে উঠেছে রাজশাহীর আমের বাজার। তাই আমকেন্দ্রিক বাণিজ্য নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত রাজশাহীর মানুষ। গত কয়েকদিন থেকেই আমের কারবার শুরু হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলে। গড়ে উঠেছে মৌসুমী আমের দোকানপাট। সেখানে কেনাবেচাও জমে উঠেছে। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের মোকাম জেলার পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজার এখন আমে ভরপুর। রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের দুপাশ ঘেঁষে গড়ে ওঠা বাজারের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই সবার আগে পাকা আমের সুবাসিত গন্ধ নাকে আসবে। দৃষ্টি দিলেও দেখা মিলবে বাহারি আম। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বড় বড় ব্যবসায়ীদের আনাগোনায় এখন জমে উঠেছে আমের বড় হাটটি। গোপালভোগ, মোহনভোগ, হিমসাগর, লখনা, ল্যাংড়াসহ হরেক প্রজাতির আঁটি আম উঠেছে এ হাটে। শুধু হাট নয়, হাটের সীমানা পেরিয়ে বাগান ও রাস্তাঘাটেও আম আর আম। বানেশ্বর হাটের পাইকারি ব্যবসায়ী (আড়তদার) মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে আমের রাজা বলে পরিচিত গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা দরে। এর বাইরে নতুন ওঠা হিমসাগর ২ হাজার থেকে ২২ শ’, ল্যাংড়া ১৫ থেকে ১৬শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন গুটি জাতের আম বিক্রি করা হচ্ছে মণপ্রতি ৯০০ থেকে ১২শ’ টাকা মণ দরে। বানেশ্বর বাজারে আম আসে জেলার দুর্গাপুর, বাঘা, চারঘাট এবং পুঠিয়ার বিভিন্ন বাগান থেকে। এই বাইরে পবা, মোহনপুর, বাগমারা এবং জেলার বাইরে নাটোরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও। মৌসুমী ফলের হাট মীরসরাইয়ে স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম থেকে জানান, জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রসালো ফলের মৌ মৌ ঘ্রাণে মাতোয়ারা মীরসরাইয়ের হাট-বাজারগুলো। আম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস, গোলাপজামসহ ফলের সমারোহে আকৃষ্ট হয়ে উঠছে ক্রেতারা। বিভিন্ন হাটবাজারে এখন মিষ্টি ফলের সুবাস। এরই মধ্যে মীরসরাইয়ের করেরহাট, বারইয়ারহাট, জোরারগঞ্জ, মিঠাছড়া, মীরসরাই, আবুতোরাব, বড়তাকিয়া, নিজামপুর, হাদি ফকিরহাট, বড় দারোগারহাটসহ বিভিন্ন বাজারে আসতে শুরু করেছে মধুমাসের নানা জাতের ফল। মীরসরাইয়ে মৌসুমী ফলের জন্য বিখ্যাত করেরহাট বাজার। এখানে মৌসুমভিত্তিক প্রায় সব ফল পাওয়া যায়। করেরহাট বাজারের পূর্বের এলাকা কয়লা, হেঁয়াকো, ভাঙ্গাটাওয়ার, রামগড়, ফটিকছড়ি, খাগড়াছড়ি ইত্যাদি স্থান থেকে প্রতিদিন বিশেষ করে সপ্তাহের রবি ও বুধবার প্রচুর মৌসুমী ফল আসে। ফলগুলোর মধ্যে কাঁঠাল, আম, আনারস, লিচু ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে মৌসুমী ফল ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি করে। নিজস্ব চাহিদা পূরণ করে এসব ফল ফেনী, চট্টগ্রাম, ঢাকা ইত্যাদি অঞ্চলে প্রেরণ করা হয়। এতে বিক্রেতারা তাদের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন এবং ব্যবসায়িরাও স্বাবলম্বী হচ্ছেন। করেরহাট বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে ফল চাষীরা মৌসুমী ফল আম, কাঁঠাল, লিচু ও আনারসের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। এখানে দেশী আম প্রতিকেজি ৩০-৪০ টাকা, আনারসে জোড়া ৩৫-৪০ টাকা, লিচু প্রতিশত ১০০-১৫০ টাকা, প্রমাণ সাইজের একটি কাঁঠাল ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
×