ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সামসুল খান স্কুল এ্যান্ড কলেজ ॥ ক্যাম্পাস পরিচিতি

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২২ মে ২০১৬

সামসুল খান স্কুল এ্যান্ড কলেজ ॥ ক্যাম্পাস পরিচিতি

সামসুল হক খান স্কুল এ্যান্ড কলেজ ঢাকা শহরসংলগ্ন ডেমরার একটি শিক্ষাঙ্গন। বাংলাদেশের মানচিত্রে এই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান হয়ত একটি বিন্দুর মতো। হোক বিন্দু, বিন্দুও সিন্ধু হয় যদি তার থাকে গতি। একটি মহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি শিক্ষণীয় ইতিহাস, তা প্রভাবিত করে প্রতিবেশ, সমাজ, স্বদেশ, নির্মাণ করে সুস্থ, শৃঙ্খল সাংস্কৃতিক পরিম-ল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে কোন বিশেষ স্থানের পরিবেশ। তার সদম্ভ পথচলা অনুপ্রাণিত করে সে অঞ্চলের সচেতন শ্রেণীকে হীরকোজ্জ্বল স্বপ্ন দেখতে। তাই কোন বড় মাপের বিদ্যাঙ্গনের ভৌগোলিক মূল্য নয়, গ্রাহ্য তার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মূল্য। কোন বিশেষ প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস মানে কোন সমাজের হয়ে ওঠার ইতিহাস, তারুণ্য ও বুদ্ধি প্রকৌশল সৃষ্টির ইতিহাস। দুই যুগ পেরোনো সামসুল হক খান স্কুল এ্যান্ড কলেজ সৃষ্টি, প্রজ্ঞায় বেশ প্রাগ্যসর। ডেমরা অঞ্চল দীর্ঘকাল ভাগ্যবিড়ম্বিত ছিল। তবে অর্থ প্রাচুর্যে আজ সে সোনায় সোহাগা হয়েছে এমনও নয়। কিন্তু শিক্ষা সংস্কৃতির পরিবর্তন যে এসেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। স্বাধীনতা উত্তরকালে ডেমরার এটাই সবেচেয়ে বড় প্রাপ্তি। শিক্ষাগত পরিবর্তনের মূল ধারায় বর্তমান প্রতিষ্ঠানেও সক্রিয় অবস্থান ছিল। ডেমরা সম্পর্কে জনশ্রুতি- ডেমরা অখ্যাত, অনুন্নত। কল কারখানার শ্রমিকদের বসবাস এখানে। প্রত্যাশা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষার অভাব দূর করার জন্য গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও ডেমরাবাসী হতাশামুক্ত হয়নি। তারই ফলে সামসুল হক খান জুনিয়র হাইস্কুলের যাত্রা শুরু। মাতুয়াইলের বিশিষ্ট বিদ্বোৎসাহী ও জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব আলহাজ সামসুল হক খান এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন। সমাজকে বদলে দেবার বাসনা যার তীব্র এমন অবদান তার পক্ষেই রাখা সম্ভব। কাদা পানির ধান খেতে ১৯৮৯ সালে ছোট একটি টিনশেডের ঘরে ডজনখানেক শিক্ষক হাতে নিয়ে সামসুল হক খান জুনিয়র হাইস্কুল বিদ্যাশিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে। তখন এই স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল অনধিক একশ’। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে বাইশ বছর মানে দুইযুগ আগের এই এলাকার জনজীবনের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা। অর্থাৎ একটি অসচ্ছল লোকালয়ে এই স্কুলটি আত্মপ্রকাশ করে। আঁতুড় ঘরেই যার জীবনাবসানের সম্ভাবনা ছিল নিরানব্বই ভাগ। কিন্তু সে মরেনি। গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের ধারায় ২০১৫ সালে এসএসসিতে প্রথম স্থান ও এইচএসসিতে শতভাগ পাস ও ৯০% এ+নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী মেডিক্যাল কলেজ ও বুয়েটসহ উচ্চ শিক্ষার কাক্সিক্ষত অঙ্গনে সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রেরণের প্রতিশ্রুতিশীল এবং শিক্ষা বিনোদনে সারা জাগানো প্রোথিতযশা ও দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল এ্যান্ড কলেজ। একাদশ শ্রেণীতে ২০১৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে অনলাইনে টেলিটক মোবাইলে ঝগঝ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন চলছে। ৯ জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অনলাইন ও এসএমএসের আবেদন করা যাবে। ফল প্রকাশ ২৬ জুন। ঊওওঘ: ১০৭৯১৫। প্রিন্সিপাল ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, আমরা ২০১৫ সালে এসএসসিতে শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে মর্যাদা পাই। এ প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা ২০০ শিক্ষার্থী বুয়েট, ঢাকা মেডিক্যাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকায় দূরের শিক্ষার্থীরা এ স্কুলে আসার সুযোগ পায়। বেশকিছু কক্ষে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু থাকায় শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও বৃত্তির ফলও বিস্ময়কর ছিল। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান জানান, ১৯৯৪ সালে নবম ও দশম শ্রেণীর স্বীকৃতির পর থেকেই স্কুলটি ধারাবাহিকভাবে ভাল ফলাফল করছে। বেশিরভাগ সময়ই শতভাগ পাস করেছে এখানে। নিয়মিত পাঠদান ও তদারকি, শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অবস্থা নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করার কারণেই ফলাফল ভাল হচ্ছে। বিস্তারিত তথ্য পেতে ক্লিক করুন :িি.িংযশংপ.বফঁ.নফ মাঈন উদ্দিন
×