ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রূপালী ব্যাংকের ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ২২ মে ২০১৬

রূপালী ব্যাংকের ব্যাখ্যা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ১৯ মে বৃহস্পতিবার সকালের খবর পত্রিকায় ‘রূপালী ব্যাংকের ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক খায়রুল হোসেন রাজু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাওয়ার ইনডেক্স, গাজীপুর পেপার্স বোর্ড লিমিটেড, মেসার্স তুরাগ এগ্রিটেক্স লিমিটেড, মেসার্স নসিব এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জেনারেটর হাউস, মেসার্স শরীফ স্টিল, মেসার্স মাবিয়া শিপ ব্রেকার্স, মেসার্স ক্রিস্টাল স্টিল এ্যান্ড শিপ ব্রেকিং লি., মেসার্স এসআরএস শিপ ব্রেকার্স নিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকগণ লিখিতভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে যেভাবে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন তা নিম্নরূপ। ইনডেক্স পাওয়ার : ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত একটি এলপিজি স্টোরেজ এ্যান্ড বটলিংক প্ল্যান্ট, যার বর্তমান স্থিতি সুদসহ ১৪৮ কোটি টাকা এবং মোট প্রকল্প ব্যয় ১৯২ কোটি টাকা। যা ব্যাংকের নিকট বন্ধক রয়েছে। প্রকল্পটি বাণিজ্যিক উৎপদনের অপেক্ষায় আছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত গাজীপুর পেপার বোর্ড লিমিটেডের অনুকূলে রূপালী ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক ৩২ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। ঋণ মঞ্জুরির শর্তাবলী পরিপালন না করায় প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোন ঋণ বিতরণ করা হয়নি। পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত মেসার্স তুরাগ এগ্রিটেক লিমিটেডের প্রকল্পের বিপরীতে জামানতের মূল্য প্রায় ১৭ কোটি ৮৯ লাখ। ঋণ স্থিতি ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। পরিশোধ করা হয় ৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ২০১৮ সাল পর্যন্ত। পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত মেসার্স নসিব এন্টারপ্রাইজ ২০১৫-১৬ সালে যেসব এলসি সুবিধা গ্রহণ করেছে তার সুদসহ সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ভিন্ন ব্যাংকের একসেপটেন্সের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৮ কোটি টাকা আইবিপি ঋণ রয়েছে। মেসার্স জেনারেটর হাউসের মোট ৭ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। তবে এসব ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের এলসি দায় সম্পূর্ণভাবে পরিশোধিত হয়েছে। পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত মেসার্স শফিক স্টিলের ১০০ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত রয়েছে, যার বর্তমান স্থিতি ৮৩ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ১০টি ঋণপত্র খুলে আমাদানি সুবিধা গ্রহণ করে, যার কোন বকেয়া নেই। মেসার্স মাবিয়া শিপ ব্রেকার্সের অনুকূলে পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত ১০০ কোটি টাকা এলসি লিমিটের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত রয়েছে। একটি এলসির দায় সম্পূর্র্ণভাবে পরিশোধ করার পর অনুমোদিত লিমিটের মধ্যে পুনরায় এলসি খোলা হয়। পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত মেসার্স ক্রিস্টাল স্টিল এ্যান্ড শিপ ব্রেকিং লিমিটেড : ৮০ কোটি টাকার লিমিটের মধ্যে এলসি সুবিধা ভোগ করছে, যার বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত রয়েছে। একটি এলসির টাকা সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করা পর পরবর্তীতে লিমিটের মধ্যে এলসির সুবিধা প্রদান করা হয়।
×