ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ সমর্থক দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে হত ১ আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৯ এপ্রিল ২০১৬

ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ সমর্থক দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে হত ১ আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ৮ এপ্রিল ॥ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ সমর্থক দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আকামত মীর (৫৫) নামে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের ছয়াল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ৩-৪টি বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে জিয়ারুল ইসলাম (৩৫) ও ইয়াকুব আলীকে (৫২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যালে রেফার করা হয়ছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে করেছে। নিহত আকামত মীর ছয়াল গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেন মীরের ছেলে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ছয়াল গ্রামের শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস ও ইমাজুল হকের মধ্যে এলাকায় সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সামাজিক বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার সকালে দু’পক্ষের লোকজন ঢাল, ভেলা, সড়কি, রামদা, লাঠি-বল্লম নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত: ১৫ জন আহত হয়েছে। আহত আকামত মীরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকায় চরম উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বিবদমান দু’পক্ষের লোকজনই আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থক। এছাড়া পদ্মাকর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ নিজামুল গনি লিটু ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিকাশ বিশ্বাসের লোকজন বলে ওসি জানান। পদ্মাকর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজামুল গনি লিটু বলেন, ছয়াল গ্রামে আমার সমর্থকদের উপর প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন হামলা করলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আমি তখন হাটগোপালপুর গ্রামের নিজের বাড়িতে ছিলাম। অন্যদিকে এইকই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী বিকাশ বিশ্বাস বলেন, আমার প্রতিপক্ষ দলের লোকজন সকালে ছয়াল গ্রামে আমার সমর্থক ডাক্তার মজনু, রওশন মোল্লা ও আকামত মীর সহ ৪/৫ জনের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং কুপিয়ে আকামত মীরকে হত্যা করে। তাদের বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
×