ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নির্যাতিত অবরুদ্ধ গৃহবধূ উদ্ধার ॥ হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নির্যাতিত অবরুদ্ধ গৃহবধূ  উদ্ধার ॥ হাসপাতালে  ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ যৌতুকের দুই লাখ টাকা পরিশোধ না করায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করে অবরুদ্ধ করে রাখে গৃহবধূ নিলুফা বেগমকে। পুলিশ শুক্রবার রাতে অবরুদ্ধ গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মেদাকুল গ্রামের। জানা গেছে, মেদাকুল গ্রামের আব্দুল হক ফকিরের পুত্র সজল ফকির গত তিন বছর আগে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পাখিরা গ্রামের সিকিম আলী মৃধার মেয়ে নিলুফাকে বিয়ে করেন। নিলুফার বড় ভাই বেলাল মৃধা জানান, বিয়ের সময় বরপক্ষের দাবিকৃত নগদ ১ লাখ টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কার পরিশোধ করা হয়। বিয়ের মাত্র তিন মাস পরই সজল ফকির তার বোনকে বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় নিলুফা অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে সজলকে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সজল নতুন করে দুই লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য নিলুফাকে চাপ সৃষ্টি করে। সে (নিলুফা) অপারগতা প্রকাশ করায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। পুনরায় সালিশের মাধ্যমে ২৫ ফেব্রুয়ারি নিলুফাকে তার স্বামী সজল ঘরে তুলে নেয়। শুক্রবার দুপুরে দুই লাখ টাকার জন্য পুনরায় সজল ও তার পরিবারের লোকজন নিলুফাকে অমানুষিক নির্যাতন করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। স্থানীয়রা ওই দিন সন্ধ্যায় বিষয়টি গৌরনদী থানা পুলিশকে জানানোর পর থানার এসআই মোঃ নজরুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে অবরুদ্ধ নিলুফাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
×