ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাপক প্রস্তুতি

উৎসবমুখর মাওয়া, শনিবার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫

উৎসবমুখর মাওয়া, শনিবার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ থেকে ॥ মাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জনসমাবেশকে সফল করতে আড়াই লাখ লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের প্রতিটি থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লায় নেতাকর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় সভা সমাবেশ ও পোস্টারিং এবং প্রচারনা চলছে। সব কিছু মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আমনকে কেন্দ্র করে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। সরেজমিনে মাওয়ায় গিয়ে দেখা যায়, মাওয়া চৌরাস্তা থেকে কিছুটা দক্ষিণে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পূর্বপ্রান্তে উদ্বোধনী ভিত্তি ফলক নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে সুধী সমাবেশের মঞ্চ। ভিত্তি ফলক উন্মোচনের পর প্রধানমন্ত্রী এখানে এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। এখান থেকে কিছুটা ঢাকার দিকে এগিয়ে গেলে মেদিনীম-ল খান বাড়ির কাছে মহাসড়কের পশ্চিম প্রান্তে নির্মাণ করা হচ্ছে বিশাল মঞ্চ। এখানে প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন শনিবার বিকেল ৩টায়। স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি এ বিশাল আয়োজনটির তদারকি করছেন। এই সাংসদ জানালেন, পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রীর একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সে চ্যালেঞ্জ সফল হতে যাচ্ছে। দেশী-বিদেশী নানা চক্র এ সেতুর কাজকে বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাদের ষঢ়যন্ত্র আজও শেষ হয়নি। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দেশীয় অর্থায়নে সেতুর নির্মাণ হতে যাচ্ছে। বাস্তবে রূপ নিচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে এখন উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে স্বাগত জানাতে। এ এলাকা পদ্মার ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা। নদী ভাঙ্গনে লৌহজং অর্ধেক হয়ে গেছে। যেটুকু ছিল তার অর্ধেক জমি এ এলাকার জনগণ পদ্মা সেতুর জন্য ছেড়ে দিয়েছে। তাই এ সেতুতে বিক্রমপুরের লোকজনের অবদান অনেক। বিক্রমপুরবাসী যেমন পদ্মা সেতুর জন্য জমি ছেড়ে দিয়েছে, যেমনি শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা দিয়ে এ এলাকার মানুষ প্রমাণ করবে পদ্মা সেতুর জন্য তাদের ত্যাগ কত বড়। সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি জানান, এখানে শুধু বিক্রমপুরের মানুষই নয়, পদ্মার ওপারের মানুষও ছুটে আসবে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে। তাই এখানে এখন উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক টুটুলের নেতৃত্বে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ঘোরদৌড় বাজার থেকে বের হয়ে মাওয়ায় গিয়ে শেষ হয়। এসব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে মুন্সীগঞ্জে এখন উৎসব আমেজ বিরাজ করছে।
×