ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অনিশ্চয়তার মধ্যেও বিশ্বে দানশীল মানুষের সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১১ নভেম্বর ২০১৫

অনিশ্চয়তার মধ্যেও বিশ্বে দানশীল মানুষের সংখ্যা বাড়ছে

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০১৪ সালে দানশীল মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বলে উঠে এসেছে এক জরিপে। বিশ্বের ১৪৫টি দেশের ওপর পরিচালিত এই জরিপের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার গবেষকরা জানিয়েছেন, সবচেয়ে উদার মানুষের দেশের তালিকায় এবার সবার উপরে রয়েছে মিয়ানমার। খবর ওয়েবসাইটের। এই তালিকায় সবার নিচে আছে বুরুন্ডি। আর এর উপরে আছে যথাক্রমে চীন, ইয়েমেন ও লিথুয়ানিয়া। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯৫ নম্বরে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপ সংস্থা গ্যালপের সহযোগিতায় লন্ডনভিত্তিক চ্যারিটেবল এইড ফাউন্ডেশন (সিএএফ) এই জরিপ চালায়। এজন্য ২০১৪ সালে বিশ্বের দেড় লাখের বেশি মানুষের সাক্ষাতকার নেয়া হয়। কোন দেশের মানুষ কতটা দানশীল, স্বেচ্ছাসেবী কাজে কতটা যুক্ত এবং আগন্তুকদের কতটা সাহায্য করেন তার ওপর ভিত্তি করে ‘ওয়ার্ল্ড গিভিং ইনডেক্স’ নামের এই তালিকা প্রকাশ করেছে সিএফএ। এতে দেখা যাচ্ছে, মিয়ানমারের প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে ৯ জনই দান করেন এবং কমপক্ষে ৫ জন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে যুক্ত। সিএএফের হিসাবে, ২০১৪ সালে বিশ্বের ১৪০ কোটি মানুষ অন্যকে দান করেছেন। দানশীলদের এই সংখ্যা বিশ্বের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৩ সালে এ হার ছিল ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এক বিবৃতিতে সিএএফের প্রধান নির্বাহী জন ল বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার এই সময়েও অন্যের সাহায্যে অর্থ দানের প্রবণতা বাড়ার এই চিত্র খুবই আশাব্যঞ্জক। সিএএফের ‘ওয়ার্ল্ড গিভিং ইনডেক্স’ অনুসারে সার্বিক দানের বিচারে তালিকায় মিয়ানমারের পরই আছে যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। জরিপে মিয়ানমারের অংশগ্রহণকারীদের ৯২ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা ২০১৪ সালে কোন না কোন প্রতিষ্ঠানে দান করেছেন। মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের ৮৭ শতাংশ উত্তরদাতা দান করার কথা জানিয়েছেন।
×