
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের ফলে অন্তত এক থেকে দুই বছর পিছিয়েছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এমন দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন।
বুধবার (২ জুলাই) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পারনেল।
তিনি জানান, ইরানের ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন সামরিক হামলা তাদের পারমাণবিক অগ্রযাত্রায় বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। পারনেলের ভাষায়, “এই হামলা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেছে। ইরানের কর্মসূচি অন্তত দুই বছর পিছিয়ে গেছে।”
তবে এই দাবির সপক্ষে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ তিনি উপস্থাপন করেননি।
এর আগে, গত ২২ জুন, মার্কিন বোমারু বিমান বি-২ ব্যবহার করে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় এক ডজনেরও বেশি ৩০ হাজার পাউন্ড (১৩ হাজার ৬০০ কেজি) ওজনের ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা এবং দুই ডজনের বেশি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
এই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ধ্বংস করা, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
পেন্টাগনের মুখপাত্র পারনেল বলেন, “এই হামলার প্রভাব নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত নজর রাখছি, যাতে ভবিষ্যতে আরও পদক্ষেপ নেওয়া যায়।”
মার্কিন এই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। ইরান পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে তেহরান বলেছে, তারা প্রয়োজনীয় জবাব দিতে প্রস্তুত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের পারমাণবিক অগ্রযাত্রা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
মিমিয়া