স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১ নবেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেন নিশ্চিত করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা যে কোনভাবে ফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর হওয়ার আগেই সারাদেশের কোচিং সেন্টার, ফটোকপি মেশিন ইত্যাদিতে নজরদারি রাখা হবে। বিজি প্রেস ও বিভিন্ন বোর্ডের প্রশ্ন প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের ওপরও বিশেষ নজর রাখা হবে।
আগেই বলা হয়েছিল আগামী ১ নবেম্বর থেকেই এবারের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হবে। এ পরীক্ষা নিয়েই বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয় পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভা। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষাসচিব অরুনা বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, রোকসানা মালেক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাখাল চন্দ্র বর্মন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষ্ণ বালা, ডিএমপির ডিসিডিবি শেখ নাজমুল আলম, এনএসআইর যুগ্ম পরিচালক মোঃ মাসুদ আলম, সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মোখলেসুর রহমান, র্যাব সদর দফতরের ইবনে মঞ্জুরুল খালিদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব হাবিবুন নাহার, সিটি এসবির এসএস মোঃ আজাদ মিয়া, এনটিএমসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএফএম আনজুমান কালাম, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের এআইজি (কনফিডেনশিয়াল) মোঃ মনিরুজ্জামান, বিটিআরসির সহকারী পরিচালক ইশতিয়াক আরিফ, বিজি প্রেসের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষক নামধারী যেসব ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন বা পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই প্রশ্নপত্র খুলে মোবাইলে ফটো তুলে ফেসবুক বা হোয়াটসআপে তুলে দেয় তাদেরকে মহান শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে চোরের পেশায় নাম লেখাতে পরামর্শ দেন। এবার এসব অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী পাবলিক পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মাঠপ্রশাসনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। সভায় বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায় কর্মরত এবং প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরদের প্রত্যেকের ছবি, মোবাইল নম্বর, বাসার ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর, বাসার অন্য সদস্যদের মোবাইল ফোন নম্বর ইত্যাদি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে হস্তান্তর করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ছাপানোকালীন সময়ে প্রতিদিন বিজি প্রেসের সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি পর্যালোচনা করা হবে। সভায় জানানো হয়- যে কেউ ফেসবুক বা অন্য কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়ালে বা এসব স্থানে লাইক দিলে বা শেয়ার করলে আইসিটি এ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারা মতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: