ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা ॥ আটক ২

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৯ জুলাই ২০১৫

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা ॥ আটক ২

সংবাদদাতা, নাটোর, ২৮ জুলাই ॥ নাটোরের নলডাঙ্গায় পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোবারক হোসেন কালু এবং মিঠুন হোসেন নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে স্কুলছাত্রী হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ইয়ারপুর গ্রাম। হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে একের পর এক শিশু নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনায় নীরব ভূমিকা পালন করছে নারী সংগঠনগুলো। তাদের এই নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাটোরবাসী। নলডাঙ্গা থানার পুলিশ এবং এলাকাবাসী জানান, সোমবার সকালে স্থানীয় ইয়ারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণী ছাত্রী স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে পরিবারের লোকজন। পরে সন্ধ্যার দিকে এলাকাবাসী স্থানীয় মসজিদে স্কুলছাত্রী হারিয়ে যাওয়ার মাইকিং করে। পরে রাত ৯টার দিকে বাড়ির অদূরে একটি বাগানে স্কুলছাত্রীর হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে রাতেই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ আরও জানায়, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর অভিযুক্ত মোবারক হোসেন কালু এবং মিঠুন হোসেন মেয়েটির কানে স্বর্ণের দুল দুটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে থানায় মামলার পর শুরু হয় অভিযুক্তদের নামে গ্রেফতারি অভিযান। নাটোরের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার জানান, ধর্ষক মোবারক হোসেন কালু ঘটনার পর থেকে পালিয়ে সিংড়া উপজেলার সাঔল গ্রামে গিয়ে একটি নৌকার ভিতর লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে সে ঢাকাতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম সাঔল গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি মালবোঝাই নৌকাতে তল্লাশি চালিয়ে মোবারক হোসেন কালুকে আটক করা হয়। পরে কালুর স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী মঙ্গলবার সকালে আরেক যুবক মিঠন হোসেনকে ইয়ারপুর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আরও জানান, অভিযুক্তরা দুজনই স্কুলছাত্রীকে নির্যাতনের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর কোর্টে চালান দেয়া হয়েছে অভিযুক্ত দুজনকে। এদিকে শিশু হত্যার ঘটনায় ফুসে উঠেছে স্থানীয় ইয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে সকালে স্থানীয় ইয়ারপুর সøুইসগেট এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে স্কুলছাত্রীর পিতা বলেন, যারা আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত ফাঁসি চাই।
×