ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিরাজগঞ্জে রিংবাঁধ যমুনায় বিলীন ॥ ড্রেজিং শুরু

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৭ জুন ২০১৫

সিরাজগঞ্জে রিংবাঁধ যমুনায় বিলীন ॥ ড্রেজিং শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বর্ষা মৌসুমের আগেই সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই বহু ঘরবাড়ি আবাদী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ৭ দিনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বালিঘুগরী বিকল্প বাঁধের প্রায় সাড়ে তিন শ’ মি, রিংবাঁধ যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্ষার আগেই আরও একটি বিকল্প বাঁধ নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে। ড্রেজিং কাজও জোরেশোরে শুরু করা হয়েছে। তবে ড্রেজিং করে ভাঙ্গনরোধ নয়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে- যমুনা নদীর বাহুকা পয়েন্টে জেগে ওঠা চ্যানেলের মাটি কেটে নতুন চ্যানেল তৈরি এবং বিপজ্জনক চ্যানেল বন্ধ করে নদীর স্রোতধারা সরিয়ে দেয়া। এর ফলে ভাঙ্গনও রোধ হবে বলে স্থানীয় লোকজন আশ্বস্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিমও উদ্বিগ্ন হয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বিভাগের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় ড্রেজিং মেশিন নদীর ভেতরের চর কেটে পশ্চিমপাড়ের ভরাট কাজ শুরু করেছেন বলে পানি উন্নয়ন বিভাগ জানিয়েছেন। এদিকে প্রতিবছর ভয়াবহ নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে এলাকার বহু ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি ও সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে সদর উপজেলার বালিঘুগরী, পাঁচঠাকুরী, সিমলা গ্রামসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্থান। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে জেলার কাজীপুর, চৌহালী, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল। ভাঙ্গন এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে যমুনা নদীর তীরবর্তী ওই ৫ উপজেলার বহু গ্রাম ও জায়গা জমি। সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থ সময়মতো অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমে কাজ না করার কারণেই সরকারের এই অর্থের অপচয় হয় প্রতিবছর। পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইমাম জানান, ইতালি, পাঁচঠাকুড়ি বালিঘুগরি গ্রামসংলগ্ন স্থানে বিকল্প বাঁধের কাজ জোরেশোরে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে প্রায় এক হাজার মিটার অংশের কাজ শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ করতে প্রকল্পে কিছুটা সময় বিলম্ব হলেও আগামী জুলাই মাসের মধ্যে বাঁধ পুরোপুরি তৈরি করা সম্ভব হবে।
×