ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি-তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি-তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

সম্পাদক পরিষদের প্রকাশিত বিবৃতির ব্যাখ্যা দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সম্পাদক পরিষদের নামে প্রকাশিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে বিবৃতি বাস্তবতা বিবর্জিত, সত্যের অপলাপ, পক্ষপাতমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তথা তথ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের সম্পূরক। তাই সরকার গণমাধ্যমকে সক্রিয়, উন্মুক্ত ও গতিশীল রাখতে সদা সচেষ্ট। ব্যাখ্যায় বলা হয়, বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্মরণকালের মধ্যে এখন সবচেয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। বর্তমান সরকারের আমলে সংবাদ গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারিত ও বিকাশ লাভ করেছে। ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে গত ৬ বছর ২ মাসে সরকার গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপমূলক কোন আইন প্রণয়ন করেনি। সম্প্রচার মাধ্যম বিকাশের লক্ষ্যে উন্মুক্ত মতামতের ভিত্তিতে প্রণীত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে যে সম্প্রচার কমিশন গঠন প্রক্রিয়াধীন, তাও সকল গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির আওতাধীন। বিদ্যমান প্রিন্টিং প্রেস এ্যান্ড পাবলিকেশন এ্যাক্ট, প্রেস কাউন্সিল এ্যাক্ট, টেলিভিশন লাইসেন্স প্রদানের শর্তাবলী বা বিজ্ঞাপন নীতি কোনটিই গণমাধ্যমকে সঙ্কোচন বা নিয়ন্ত্রণমূলক নয়। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রেও সাংবাদিক গ্রেফতার আইন সংশোধন করে শিথিল করেছে। সুতরাং এটি স্পষ্ট যে, সংবাদপত্র বা ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোন আইন এই মুহূর্তে দেশে নেই। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যমকে সহযোগিতা করার জন্য এবং অবাধ তথ্য ও সংবাদ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করেছে, গঠন করেছে তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশন। সকল সাংবাদিকের সুষম বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে ওয়েজবোর্ড। অসুস্থ, অস্বচ্ছল, আহত সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, সরকারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-মহল বা ব্যক্তি মালিকানাধীন সকল গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশব্যাপী তাদের অসংখ্য পত্রিকা যেমন অবাধে প্রকাশিত হচ্ছে, তেমনি তাদের মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ সরকারের কোন হস্তক্ষেপ ছাড়া অবাধে প্রচারিত হচ্ছে। মালিকদের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতের কারণে তাদের প্রতিষ্ঠানের কাজের ওপর কখনও কোন হস্তক্ষেপ করা হয়নি। দলীয় মত প্রচারের কারণেও কোন গণমাধ্যমকে নিগ্রহ করা হয়নি।
×