ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৫ আগস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

নদীর তীররক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধস

আবিদুর রহমান নিপু, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ৫ আগস্ট ২০২৫

নদীর তীররক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধস

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীর তীররক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধস দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মাঝামাঝি চর আজমপুর এলাকায় ডান তীর রক্ষায় ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করছে মেসার্স লিটন মল্লিক নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এখনো পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে বাঁধের আনুমানিক ৩০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। এতে সিসি ব্লকগুলো পর্যায়ক্রমে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তারা এখনো কাজ বুঝে পায়নি। কাজে অনিয়ম হলে তার দায়ভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই বহন করতে হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ফরিদপুরে ‘মধুমতি নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ শিরোনামে ২০২৩ সালের ৬ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৪৮১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এটি ২৮টি প্যাকেজে বিভক্ত হয়ে বর্তমানে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী এলাকায় সাড়ে সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ২ নম্বর প্যাকেজের আওতায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চর আজমপুর এলাকায় ৩০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স লিটন মল্লিক নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

মেসার্স লিটন মল্লিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, হঠাৎ করে গত কয়েক দিনে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধের কিছু অংশ ধসে গেছে। ধসে যাওয়া অংশে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানোর প্রস্তুতি চলছে। নদীর পানি কমলে নতুন করে মেরামত করে দেওয়া হবে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কথা হয়েছে। কাজ চলমান। বাঁধের ধসে যাওয়া অংশের কাজ নতুন করে করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সজিব

×