
পাবনার বেড়া উপজেলার তারাপুর গ্রামে মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে উদ্ভূত সংঘর্ষে আহত আরও একজন মারা গেছেন। সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজামুদ্দিন মোল্লা (৫০) নামের এই ব্যক্তি মারা যান। তিনি নতুন মসজিদের পক্ষের সমর্থক ছিলেন। এই নিয়ে সংঘর্ষে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়াল দুই জনে।
পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই সংঘর্ষের সময় গুরুতর আহত হন নিজামুদ্দিন মোল্লা। শুরুতে তাঁকে ভর্তি করা হয় সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে। সেখানে টানা ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হলে সোমবার রাতে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাফনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা।
এর আগে ২৬ জুলাই সকালে সংঘর্ষে আহত হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. হাদিস (৪০)। তিনিও নতুন মসজিদের পক্ষের সমর্থক ছিলেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই তারাপুর গ্রামের পুরোনো ও নতুন দুটি মসজিদ নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি চরমে পৌঁছায় ২৫ জুলাই, যখন নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ শুরু হয়। ওই দিন সকাল ১০টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জন এ ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন, আহত হন অন্তত ৩০ জন। পরদিন (২৬ জুলাই) প্রথম মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। ওই দিন দুপুরে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় এবং অন্তত ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান বলেন, ‘প্রথম মৃত্যুর পর গ্রামে উত্তেজনা ছড়ালেও দ্বিতীয় মৃত্যু বেছায় ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।’
আফরোজা