
চাঁদপুর সদর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তীব্র শিক্ষক সংকটের কারনে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি না দেওয়ায় এবং অবসরের কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলোতে। এতে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়ের নিয়মিত পাঠদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম। নিয়মিত প্রধান শিক্ষক না থাকায় অনেক দাপ্তরিক কাজেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ার ফলে ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা।
সদর উপজেলার মোট ১৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬১টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। এছাড়াও, ৬১ টি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মতে, ১৭২টি অনুমোদিত প্রধান শিক্ষকের মধ্যে বর্তমানে মাত্র ১১১ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। বাকিদের প্রধান শিক্ষকদের তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকই নয়, সহকারী শিক্ষকেরও বিরাট ঘাটতি রয়েছে। মোট ১০৭৩টি অনুমোদিত সহকারী প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ৬১টি পদ এখনও শূন্য। বর্তমানে প্রধান ও সহকারী শিক্ষকসহ ১০৩৭ জন শিক্ষক ৪০ হাজার জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিদ্যালয়গুলিকে মোট সাতটি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে। ক্লাস্টারগুলো হলো আক্কাছ আলী,খলিসাডুলি,মহামায়া, পূর্ব জাফরাবাদ ফরক্কাবাদ, বহরিয়া ও খেরুদিয়া
এছাড়াও, দুইজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মধ্যে তার দুজনইস্কুল পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন যে শিক্ষক সংকটের কারণে একদিকে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে একই সাথে তাদের ক্লাস নিতে হচ্ছে এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করতে হচ্ছে। যা তাদের উপর মানসিক ও শারীরিক চাপ বৃদ্ধি করছে।
৬১টি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ শূন্যতায় ভারপ্রাপ্তের উপর নির্ভরশীলতার কারনে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্যক্রমে কোনও শৃঙ্খলা নেই। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকরা প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেন, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার উপর প্রভাব ফেলছে।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভব রঞ্জন দাস বলেন, চাঁদপুর সদরের ৬১টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক এবং ৬১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।"তিনি আরও বলেন, "শূন্যস্থান পূরণের জন্য পদোন্নতি এবং বদলির কাজ চলছে। আমরা আশা করি খুব শীঘ্রই অনলাইনে এই পদগুলি পূরণ করতে পারবো।
Jahan