ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

না.গঞ্জে বৈধ কারখানার গ্যাসের মিটার জব্দের বাণিজ্য, ফেরত আনতে গেলেই গুনতে হচ্ছে অর্থ 

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:১৩, ২৬ জুলাই ২০২৫

না.গঞ্জে বৈধ কারখানার গ্যাসের মিটার জব্দের বাণিজ্য, ফেরত আনতে গেলেই গুনতে হচ্ছে অর্থ 

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে অভিযানের নামে বৈধ কারখানা থেকে গ্যাসের মিটার জব্দ করেন তিতাসের কতিপয় কর্মকর্তা। সেসব মিটার ফেরত আনতে গেলে কর্মকর্তারা দাবি করেন মোটা অংকের টাকা। কয়েক ঘণ্টা গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলে কারখানার উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাপক আর্থিক লোকসানে পড়তে হয় কারখানা মালিকদের। তাই উপায় না পেয়ে কর্মকর্তাদের চাহিদা মাফিক অর্থ দিয়েই ফেরত আনতে হয় মিটার। এমন অভিযোগ তুলে তিতাসের এমডির কাছে অনলাইনে অভিযোগ করেছেন একাধিক বৈধ ভাট্টির মালিকরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে তিতাস সংশ্লিষ্টরা।   

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের ডিজিএম (ভিজিল্যান্স) শাহিদুর রহমান কোন আগাম নোটিশ ছাড়াই বৈধ ভাট্টিগুলোতে অভিযান চালিয়ে তাদের কারখানার কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। আর অবৈধ কারখানা চলছে অবাধে। এতে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যরাতে হঠাৎ বৈধ কারখানায় অভিযান চালান শাহিদুর। কারখানা থেকে মিটার নিয়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ওই কারখানাকে মোটা অংকের টাকায় দেনদরবারের পর মিটার ফিরিয়ে দেয়া হয়। শাহিদুর ও আরেকজন ডিজিএম মিলে এ কাজ করেন। অথচ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভবেরচর, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ এলাকায় মানাবে ওয়াটার পার্কের বিপরীতে এবং সাফা অয়েল অ্যান্ড এলপিজি ফিলিং স্টেশনের পাশে ১১টি ভাট্টিসহ একটি অবৈধ চুন কারখানা রয়েছে। ভাটের চর সেভেন স্টার হোটেলের আরও একটি অবৈধ চুন কারখানা রয়েছে, যেখানে ৫টি ভাট্টি আছে। সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টের পিছনে অবৈধ ৪টি ভাট্টি রয়েছে। দাউদকান্দি ব্রিজের আগে ডান পাশে বাউশিয়া আম বাগানের ভিতরেও অবৈধ ভাট্টি রয়েছে। এসব ভাট্টি থেকে মাসোয়ারা নিয়ে কোন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। একেকটি কারখানায় ১০ দিনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার গ্যাস খরচ হয়। গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় কারখানা মালিকদের। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের ডিজিএম (ভিজিল্যান্স) শাহিদুর রহমান বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিযান চালিয়ে ১৪টি বৈধ কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মিটার স্থগিত করা করা হয়েছে। কারণ এরা মিটারকে বাইপাস করে আরেকটি কারখানায় গ্যাস সংযোগ দিতো। এতে বৈধ মিটারে বিল উঠতো না। আর মিটার জব্দ করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

শিহাব

×