
প্রবল স্রোতের টানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে অষ্টগ্রাম-চাতলপাড় সড়কের লাউড়া-নাজিরপুর মধ্যকার ব্রীজের সংযোগ স্থল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-স্রোতের টানে মাটি সরে গিয়ে ব্রীজের সংযোগ রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এপার-ওপার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে লাউড়া, নাজিরপুর, বাঘাইয়া, নোঁয়াগাও গ্রামের বাসিন্দাসহ হাজার হাজার যাত্রী। এ সড়ক দিয়ে ওই গ্রামবাসী ইউনিয়ন পরিষদ, হাট-বাজার, উপজেলা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, অফিসে যাতায়াত করে। বিশেষ করে বর্ষাকালে হাওরের সাব-মার্সিবল রাস্তা ডুবে যাওয়ায় এ সড়ক দিয়ে উপজেলার অধিকাংশ জনগণ নাসিরনগর হয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে । প্রতিদিন চলাচল করে ছোট বড় শত শত যানবাহন । হাওর এলাকার বৃহত্তর চাতলপাড় বাজারে উপজেলাবাসী গরু-মহিষ,ধান,গম মালামাল পরিবহন করে এ রাস্তা দিয়েই।
যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়- যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এপার থেকে ওপারে গিয়ে গাড়ীর জন্য বসে থাকতে হয়। সিরিয়ালের কারণে প্যাসেঞ্জার ভর্তি না হলে গাড়ী ছাড়ে না। তাছাড়া ভাড়াও বেশী দিতে হয় সময়ও নষ্ট হয়।স্থানীয় জুসেল মেম্বার ও এলাকাবাসী জানান- ব্রিজের গোড়ায় প্রায় ৬০-৭০ হাত গভীর পানি রয়েছে। ফলে অল্পমাটি দিয়ে ভরাট করলে থাকে না আবার ভেঙ্গে যায়। স্থায়ীভাবে মেরামত না করায় বার বার ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গত বন্যার সময়ও রাস্তাটি ভেঙ্গে গিয়েছিল। স্থানীয় উদ্যোগে তৈরী করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে জনগণ তখন পারাপার হয়েছে। তারা আরও জানান- উপজেলা নির্বাহী অফিস,উপজেলা পরিষদ থেকে সাময়িক কিছু বস্তা দিয়ে মাটি ভরাট করলেও প্রবল স্রোতের টানে এবার অন্যস্থান দিয়ে ভেঙ্গে গেছে। ফলে তারা চরম দুর্ভোগে আছে। গরু-বাছুর ,মালামাল পরিবহন করতে পারছেনা। জরুরী রোগী, প্রসূতি সম্ভাবনা মায়েদের ক্ষেত্রে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তার বেশ কিছু স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অতিদ্রুত সেগুলো মেরামত করা না হলে সেখানকার ব্লক সরে গিয়ে পুরো রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় শঙ্কা করছে এবং অতি দ্রুত রাস্তাটি মেরামতের জোর দাবী জানাচ্ছে তারা।
অষ্টগ্রাম উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সৈয়দ রেজাউল হক জানান, এখানে ব্রিজের স্পেসের তুলনায় পানির ফ্লো অনেক বেশি ফলে এপ্রোচ রাস্তায় প্রচুর প্রেসার পড়ে যার দরুণ বার বার ভেঙ্গে যায়। যাতে পানির প্রেসার না পড়ে দুপাশে দুটি সংযোগ ব্রিজ হবে এবং এরকম আরও কয়েকটি ব্রিজ আছে এর জন্য এস্টিমেট তৈরী হচ্ছে অতি দ্রুত তা হেড অফিসে চলে যাবে। খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
রাজু