
কুমিল্লা নামের একটি ঐতিহাসিক অর্থ ‘পদ্মপুকুর’। অথচ কুমিল্লা নগরীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের (ডিসি অফিস) সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী পুকুরটি আজ কচুরিপানা আর আবর্জনায় ভরা এক পরিত্যক্ত জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।
নগর উদ্যানের উত্তর পাশে, ডিসি অফিসের পূর্বাংশে অবস্থিত এ পুকুরটিকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য পরিচিত ওয়াকওয়ে এলাকা। সাধারণ মানুষ এ পথ দিয়ে হাঁটেন, বিশ্রাম নেন, প্রকৃতির একটু ছোঁয়া পান। কিন্তু সেই নান্দনিকতা আজ যেন হারিয়ে গেছে। পুরো পুকুরজুড়ে কচুরিপানা, পশ্চিম-দক্ষিণ কোনে ময়লাযুক্ত ড্রেনের পানি সরাসরি এসে পড়ে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। পূর্ব পাশজুড়ে আবর্জনার স্তূপ, দুর্গন্ধ আর নোংরা পরিবেশ যেন এ পুকুরকে পরিণত করেছে নগরীর এক ময়লার ভাগাড়ে।এমন দৃশ্যপট অনেককেই বিস্মিত করছে, কারণ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, পুকুর উদ্ধার ও পরিষ্কারে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা গেছে সম্প্রতি। কিন্তু নিজ কার্যালয়ের সামনের এই পুকুর নিয়ে যেন কারো মাথাব্যথা নেই।
সাধারণ নাগরিকদের প্রশ্ন—এই পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, চারপাশে আলোকসজ্জাসহ একটি পরিকল্পিত ওয়াকওয়ে কেন নির্মাণ করা হচ্ছে না? কেন এই এলাকায় সিটি করপোরেশন বা জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পুকুরটির চারপাশকে যদি পুনঃউন্নয়ন করা হয়, তা হলে কুমিল্লা নগরবাসীর জন্য এটি হতে পারে একটি মডেল নাগরিক পার্ক ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের প্রতীক।
জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নাগরিক সমাজ বলছে—"ডিসি অফিসের এই পুকুর শুধু জলাশয় নয়, এটি কুমিল্লার ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তির অংশ। এটি যেন আর অবহেলার শিকার না হয়।"
রাজু