
নাটোরের লালপুরে ইজারা ছাড়াই বিভিন্ন খেয়া ঘাটের নদী পারাপারে টোল আদায় করছেন স্থানীয় প্রভাশালীরা, ফলে প্রতি বছরই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার লক্ষীপুর, বিলমাড়িয়া বাজার ঘাট, বাজার সংলগ্ন মোল্লার ঘাট, মোহরকয়া কয়লার ডহর, মহারাজপুর, পানসীপাড়া সহ বেশ কয়েকটি খেয়াঘাট রয়েছে। এই খেয়া ঘাটগুলো দিয়ে প্রতিদিন পদ্মার চরের শত শত কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসল পারাপার করে। ঘাটগুলো থেকে প্রতিদিন ইজারা ছাড়াই হাজার হাজার টাকা টোল আদায় করা হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক আফাজ উদ্দীন জানান, এসব খেয়া ঘাটগুলো থেকে বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা টোল আদায় করা হলেও সরকার কিছুই পায়না, এগুলো ইজারা দেওয়া হলে সরকার রাজস্ব পাবে এবং এই রাজস্ব থেকে আয়কৃত অর্থ দিয়ে এই নদীঘাটগুলোর উন্নয়ন করা সম্ভব।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী ইজারা ছাড়া নদীঘাটগুলিতে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ কমে যায়, যা ঘাটগুলোর আধিপত্য নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। নদীঘাটগুলো ইজারা দেওয়া হলে সরকার যেমন রাজস্ব আয় করতে পারে, তেমনি অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করা যেতে পারে, এবং নদীগুলির টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেহেদী হাসান জানান ‘এগুলো আমাদের নজরে নাই, আমরা খোঁজ নিবো নিয়ে সেগুলো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে’।
রাজু