ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

প্রিপেইড মিটার নিয়ে চরম ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ১৪ জুলাই ২০২৫

প্রিপেইড মিটার নিয়ে চরম ভোগান্তি

প্রিপেইড মিটার নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নগরীর বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। মিটার জটিলতার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত দু’দিন যাবৎ নগরীর উপশহর, পূর্ব জিন্দাবাজার, বারুতখানা ও পূর্ব শাহী ঈদগাহ এলাকার প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীরা রিচার্জ করতে পারছেন না। বিদ্যুৎ অফিসে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। এ বিষয়ে কোনো রকম সমাধান দেওয়া হচ্ছে না অফিস থেকে। শুধু মিটার পরিবর্তনের ফরম ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

গরমে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন। অনেকে রান্না, পানি উত্তোলনসহ নিত্যকার কাজ করতে পারছেন না।

বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেটে প্রথম যেসব এলাকায় প্রিপেইড মিটার দেওয়া হয়েছিল, সেই সব মিটারগুলোতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এগুলোতে আর রিচার্জ করা যাবে না। মিটার পরিবর্তনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগ। একজন গ্রাহক জানান, মিটারের ৭ ও ১৪ নম্বর সিরিয়ালের মিটারগুলোতেই সমস্যা হচ্ছে।

আরও একজন গ্রাহক বলেন, “তারা আমাদের নতুন মিটার দিচ্ছে। এখন এই মিটার কারা লাগাবে, কী করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।”

এদিকে গ্রাহক ভিড় বাড়তে থাকায় সেখানে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা।

পিডিবি জানায়, পুরাতন মিটারে নানা জটিলতা থাকায় চলতি মাস থেকেই তা পরিবর্তনের কাজ শুরু করে বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে এরই মধ্যে শনিবার দুপুর থেকে বন্ধ হয়ে যায় পুরাতন মিটারের রিচার্জ সার্ভার। ফলে নতুন করে রিচার্জ না হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহও। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীদের নতুন মিটার প্রদান করে আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

পিডিবি, বিক্রয় বিতরণ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন বলেন, “এই সার্ভার ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রিত। সেখানে গতকালই যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানেও কাজ চলছে। আজকেই সচল হওয়ার আশ্বাস দিলেও কখন সচল হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”

নতুন মিটারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চলতি মাস থেকেই ধাপে ধাপে আমরা গ্রাহকদের পুরাতন মিটার পরিবর্তন করে নতুন মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করি। কারণ পুরাতন মিটারে লক, ব্যাটারি সংক্রান্ত নানা জটিলতা রয়েছে। তবে এরই মধ্যে পুরাতন মিটারের সার্ভার ডাউন হয়ে গেছে। তাই এখন যারাই আসছেন তাদের আমরা নতুন মিটার প্রদান করছি।”

তিনি আরও বলেন, “হঠাৎ একসাথে এতো মানুষের চাহিদা থাকায় নতুন মিটার স্থাপনে আমাদের কর্মীদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে যত দ্রুত সম্ভব নতুন মিটার স্থাপনের কাজ চলছে।”

সানজানা

×