ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

বান্দরবানে ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধস, অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

মোহাম্মদ আবদুর রহিম, বান্দরবান

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ৯ জুলাই ২০২৫

বান্দরবানে ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধস, অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

লামা মিরিঞ্জা এলাকায় সড়কে পাহাড় ধসে পড়ায় লামা-আলীকদম ও মিরিঞ্জা পর্যটন সড়ক যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সাতটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে পাহাড় ধস ও গাছ ভেঙে পড়ায় চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

এদিকে, পাহাড় ধসে লামা মিরিঞ্জা এলাকায় সড়কে মাটি জমে যাওয়ায় লামা-আলীকদম ও মিরিঞ্জা পর্যটন সড়ক যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করে লামা উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের তৎপরতায় কয়েক ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এছাড়া অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে জেলার সাতটি উপজেলায় থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলার চৌত্রিশটি ইউনিয়নে ২২০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

এদিকে টানা ভারী বৃষ্টিতে লামা-আলীকদম, রুমা, থানচি, লামা-সূয়ালক, রোয়াংছড়ি-রুমা, থানচি-আলীকদমসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসে সড়কে কাদা মাটি জমে সড়কগুলো পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে, রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশ্রমপাড়া এলাকায় একটি পাহাড় ধসে পড়েছে। গভীর রাতে টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে পাহাড় ধসে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে বান্দরবান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ বিকাল তিনটা পর্যন্ত বান্দরবানে ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
 

 

মারিয়া

×