
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই মাস, বাংলাদেশ ইতিহাসে একটি বিষাদময় অধ্যায়। এই মাসেই ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শত শত ছাত্র-জনতা। “বাবার কাঁধে ছেলের লাশ… যে বহন করেছে সেই জানে”— শহীদ মিরাজ হোসেনের বাবার এই বেদনাবিধুর মন্তব্য যেন ফুটিয়ে তোলে সেই ভয়ংকর বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।
জুলাই মাসকে কেন্দ্র করে ‘পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ‘জুলাইয়ের বিষাদ সিন্ধু বা Requiems for July Martyrs’ শিরোনামে একাধিক প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এই প্রামাণ্যচিত্রগুলোতে তুলে ধরা হয়েছে শহীদ পরিবারের সাক্ষাৎকার, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা, এবং সেইসব হৃদয়বিদারক মুহূর্ত, যা এখনও বহু পরিবারের জীবনে গভীর শোক আর ক্ষত হয়ে আছে।
এই ধারাবাহিকের প্রথম প্রামাণ্যচিত্রটি আজ প্রকাশিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রামাণ্যচিত্রটির অংশবিশেষও শেয়ার করেন, যাতে শহীদদের স্মরণে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে শুধু ইতিহাস নয়, ফুটে উঠেছে প্রতিরোধ, শোক, গর্ব আর দায়বদ্ধতার এক শক্তিশালী বার্তা।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একটি সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
এটি শুধুই একটি ডকুমেন্টারি নয়— এটি একটি ইতিহাসের দলিল, একটি প্রতিরোধের চিহ্ন, একটি জাতিগত শোকের আলেখ্য।
আসিফ