
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর গ্যান্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন এলাকায় শহীদ শাহরিয়ার খান আনাস সড়ক ও শহীদ জুনায়েদ চত্বরের নামফলক উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার এই উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দুই শহীদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা অংশ নেন। শহীদদের স্মরণে দোয়া-মোনাজাতের পাশাপাশি রোপণ করা হয় কৃষ্ণচূড়া গাছ। আবেগঘন মুহূর্তে শহীদদের মা-বাবারা সন্তান হারানোর যন্ত্রণার কথা বলেন। তাঁদের প্রত্যাশা, শহীদ সন্তানের স্বপ্ন পূরণে বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক। এক শহীদের মা বলেন, "আমার ছেলেটা বলেছিল, আজ বিজয় হবে মা, দোয়া করো। আমার একটাই ছেলে ছিল, এখন আমার কিছুই নাই।"
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। যারা এই শহীদদের ভুলিয়ে দিতে চাইবে, তারা এই শতাব্দীর নবম মীরজাফর।”
উপদেষ্টারা বলেন, শহীদদের শুধু স্মরণ করলেই চলবে না, কাঠামোগত সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, নিরাপদ ও দায়বদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে, যেখানে কারো যেন নিজের ট্যাক্সের টাকায় কেনা বুলেটে শহীদ হতে না হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁখারপুলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন শাহরিয়ার খান আনাস ও মেহেদী হাসান জুনায়েদ। সেই স্মৃতি আজও ব্যথিত করে পরিবার ও দেশপ্রেমিক জনতাকে।
আঁখি