
নবীগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ফারুক মিয়া (৪৫) মারা গেছেন। সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেট নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রাতেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমীন। নিহত ফারুক মিয়া উপজেলার তিমিরপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে।
এর আগে সোমবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নবীগঞ্জের আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে দোকান, গাড়ি এবং একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বিকেল ৪টার দিকে ইউএনও ১৪৪ ধারা জারি করলেও পৌর এলাকার গাজীরটেক, মৎস্যজীবী পাড়া, চরগাঁও ও পশ্চিমবাজার পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরোনো বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। দুপক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে পুরো বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আগুনে পুড়ে যায় দোকানপাট ও যানবাহন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। রাজনৈতিক নেতারাও স্থানীয়ভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেন।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, “এখন এলাকায় শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মিমিয়া